শুরুতে কোভিড পজিটিভ হয়ে ছিটকে যাওয়া, পরে দ্রুতই আবার নেগেটিভ হয়ে চট্টগ্রামে এসে দলে যোগদান এবং শেষ পর্যন্ত একাদশে জায়গা করে নেওয়া, গত কয়েক দিনে খবরের শিরোনামে ছিলেন সাকিব আল হাসান।
সাকিবকে পেয়ে একাদশ নিয়ে দুর্ভাবনাও যেমন অনেকটা দূর হয়েছে, তেমনি ড্রেসিং রুমে মিলেছে উজ্জীবনী পরশ। অপেক্ষা এখন লড়াই শুরু হওয়ার।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে চট্টগ্রামে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে খেলা শুরু সকাল ১০টায়।
সাকিব খেললেও শারীরিকভাবে তিনি কতটা প্রস্তুত, সেই প্রশ্ন অবশ্য থাকছে। শনিবার অনুশীলনে ৩০ মিনিট ব্যাটিং করা ছাড়া আর কোনো অনুশীলন তিনি করেননি। তবে ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে খুব বেশি অনুশীলন প্রয়োজন নেই, এমনটি তিনি দেখিয়েছেন অনেকবারই। তার মতো অলরাউন্ডার দলে থাকা মানেই নিজেদের শক্তি বেড়ে যাওয়া, প্রতিপক্ষের জন্য বাড়তি ভাবনা।
সাকিব থাকায় দলের একাদশ বাছাইও কিছুটা সহজ হয়ে গেছে। পাঁচ বোলার নিয়ে খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছে দলের জন্য। তিনি না থাকলে সেটা নিশ্চিতভাবেই হতো না। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য মুমিনুল নিশ্চিত করে বললেন না, কয় বোলার নিয়ে একাদশ সাজাবেন তারা।
তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংসের সূচনায় মাহমুদুল হাসান জয়, এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও সাকিবের নামগুলি একাদশে নিশ্চিতই। স্পিনে সাকিবের সঙ্গী তাইজুল ইসলাম। আর থাকছেন দুই পেসার। বাকি একটি জায়গায় আরেকজন স্পিনার নেওয়া হলে খেলবেন নাঈম হাসান, বাড়তি ব্যাটসম্যান নিলে ইয়াসির আলি চৌধুরি, অলরাউন্ডার নিলে খেলবেন মোসাদ্দেক হোসেন। আর পেসার তিনজন খেলানো হলে তো বিকল্প আছেই।
বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজটি সুযোগ টেস্টে আবার উন্নতির পথে ফেরার। বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ড সফরে ঐতিহাসিক সেই জয়ের পর নতুন যুগের সূচনা বলে ধরে নেওয়া হলেও আদৌতে সেই আশা পূরণ হয়নি। নিউ জিল্যান্ডে দ্বিতীয় টেস্টে, দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই টেস্টেই মুখ থুবড়ে পড়েছে দল। এবার দেশের মাঠে সুযোগ ঘুরে দাঁড়ানোর।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অবশ্য বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো নয়। ২২ টেস্ট খেলে জয় স্রেফ একটি, ২০১৭ সালে কলম্বোয়। দেশের মাঠে ৮ টেস্ট খেলে জয় নেই একটিও। তবে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের গত চক্রে কেবল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই পয়েন্ট আদায় করতে পেরেছিল বাংলাদেশ, একটি ম্যাচ ড্র করে।