শিরোনাম
অনলাইনে কুতথ্য প্রতিরোধে সফল ভূমিকা রাখছে আইইডি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন নিত্যপণ্যের দাম কমানো, রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে গাইবান্ধায় বাম জোটের বিক্ষোভ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জরুরী পদক্ষেপের দাবি বাম জোটের জ্বালানি খাতে এখনই ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব খাওয়ার স্যালাইনের সহ-উদ্ভাবক বাংলাদেশের বন্ধু রিচার্ড ক্যাশ মৃত্যু বরণ করেছেন বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে তিনবার  কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগের আলটিমেটাম  বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত টাকা ফেরাতে  আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক সহযোগিতায় রাজি শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক জাগরণ যাত্রার ডাক সিপিবি’র

সেন্সর পেল চলচ্চিত্র ‘সাঁতাও’

সেন্সর পেল চলচ্চিত্র ‘সাঁতাও’

সেন্সর পেল চলচ্চিত্র ‘সাঁতাও’

খন্দকার সুমন পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘সাঁতাও’ সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছে।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন যাপনের চিত্রায়নের প্রয়াসেই নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র “সাঁতাও“। চলচ্চিত্রটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল, ফজলুল হক।

নদীর অববাহিকায় সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামলা  গ্রাম। নানান প্রকল্পের নাম করে নদীর উপর একের পর এক বাঁধ নির্মিত হয়েছে। উজানে বাঁধের কারণে নদীর ভাটি অঞ্চল প্রায় মরু ভূমিতে পরিণত হচ্ছে। কৃত্রিম ভাবে সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে এখনও কৃষি কাজ চললেও গ্রামের সাধারণ কৃষকের জন্য এই পদ্ধতিতে চাষবাস ব্যয়বহুল। সেচ প্রকল্পের নিয়ন্ত্রক গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ। কৃষকের এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে রমরমা ব্যবসা করছে দাদন ব্যবসায়ী এবং ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থা গুলো। গ্রামে এক দিকে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তির চাপ অন্য দিকে কৃষি কাজের বৈরি পরিবেশ, কৃষকেরা গ্রাম ছেড়ে শহরে যাচ্ছে, জীবনের মায়া না করে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে। নানান দুর্ঘটনায় লাশ হয়ে ফিরছে গ্রামে। এমন সব চলমান ঘটনার বিপরীতে থাকা একজন সাধারণ কৃষক ফজলু। মাতা-পিতাহীন ফজলু বিয়ে করে উজানের  গ্রামের মেয়ে পতুলকে। ফজলু এবং পুতুল দম্পতির পরিবারে একটি গরু নতুন সদস্য হয়ে আসে। ফজলু, পুতুল এবং গরু নিয়ে এগুতে থাকে সাঁতাও চলচ্চিত্রের গল্প।

কৃষকের সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সার্বজনীন রূপ এবং সুরেলা জনগোষ্টির সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নায় আবর্তিত হয়েছে পুর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “সাঁতাও’’ এর কাহিনী।

চলচ্চিত্রটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোঃ সালাউদ্দিন, সাবেরা ইয়াসমিন, স্বাক্ষ্য শাহীদ, শ্রাবণী দাস রিমি, তাসমিতা শিমু, মিতু সরকার, ফারুক শিয়ার চিনু, আফরিনা বুলবুল, রুবল লোদী, কামরুজ্জামান রাব্বী, আব্দুল আজিজ মন্ডল, বিধান রায়, জুলফিকার চঞ্চল, বিনয় প্রসাদ গুপ্ত, সুপিন বর্মণ, রেফাত হাসান সৈকত, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, আলমগীর কবীর বাদল, রবি দেওয়ান, দীনবন্ধু পাল, হামিদ সরকার, মোঃ হানিফ রানা, আকতার হোসেন, আজিজুল হাকিম শিউস, সাইফুল ইসলাম লিটন, রাসেল তোকদার, মজনু সরকার, আবু কালাম, সিদ্দীক আলী, সুজন মাহমুদ, তাহসিনা আকতার তন্বী, নিশাত তাহিয়াত মিমন এবং তিস্তাবাজার এলাকাবাসী।

চলচ্চিত্রটির কাহিনী, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন খন্দকার সুমন, সম্পাদনা, রং-বিন্যাস, এফেক্ট ও টাইটেল, সাউন্ড ডিজাইন ও সাউন্ড মিক্সিং করেছেন সুজন মাহমুদ, শব্দ গ্রহণে ছিলেন নাহিদ মাসুদ, চিত্রগ্রহণে ছিলেন সজল হোসেন, ইহতেশাম আহমদ টিংকু ও খন্দকার সুমন, আবহ সংহীত করেছেন মাহমুদ হায়াৎ অর্পণ, গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কামরুজ্জামান রাব্বী, লায়লা তাজনূর সাউদী, লিমা হক, শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন রবি দেওয়ান, পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন আফ্রিনা বুলবুল, নৃত্য পরিচালনা করেছেন ফাহিম রায়হান, রূপসজ্জা করেছেন ফরহাদ রেজা মিলন, পোস্টার ডিজাইন করেছেন সাজ্জাদুল ইসলাম সায়েম।