চলতি অর্থবছর শেষে ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের আশা

চলতি অর্থবছর শেষে ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের আশা

বর্তমানে রেমিট্যান্সে পিছিয়ে থাকলেও চলতি অর্থবছর শেষে ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স অর্জনের আশা করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা  কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা খাতে আমাদের প্রবৃদ্ধি এগিয়ে আছে, আমরা যথাযথ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে যাচ্ছি। আমাদের এক্সপোর্ট বেড়েছে, আমরা যে পরিমাণ আশা করেছিলাম তার চেয়ে বেশি হচ্ছে। নভেম্বরে এক মাসে আমাদের ৩১ শতার্শ এক্সপোর্ট বেড়েছে। ৫ মাসে নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের এক্সপোর্টের গ্রোথ ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

তিনি বলেন, রেমিট্যান্সে আমরা একটু পিছিয়ে আছি। রেমিট্যান্স এখন যেভাবে এগুচ্ছে সেভাবে এগুলে ২১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আমরা আশা করতে পারি। কিন্তু আমাদের সামনে দু’টি ঈদ রয়েছে। এই ঈদের সময় রেমিট্যান্স বেশি আসে, সেটা বাদ দিয়েই কিন্তু আমরা ২১ বিলিয়ন ডলার আমরা প্রত্যাশা করছি। যেই রেমিট্যান্স আমরা প্রত্যাশা করছি সেটি যদি পেয়ে যাই তাহলে এ বছর আমরা আশা করি ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এই খাত থেকে আমরা অর্জন করতে পারবো।

তিনি বলেন, আমাদের আমদানি রপ্তানি ভালো। আমাদের আমদানি রপ্তানি যেভাবে এগুচ্ছে, আমরা বিশ্বাস করি এ বছর আমাদের ৪ হাজার ৭৪৮ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হবে। নতুন একটি মাইলফলক অর্জন করতে যাচ্ছি আমরা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ৫০ বছরেই আমাদের অনেক অর্জন হয়েছে এটা আমি স্বীকার করি। এই অর্জনটি একইভাবে অগ্রগতি হয়েছে তা নয়। আপনারা জানেন আমাদের প্রথম ১০০ বিলিয়ন ডলার জিডিপিতে অর্জন করতে লেগেছিল ৩৮ বছর। ৫০ বছরের মাঝে ৩৮ বছর বাদ দিলে থাকে ১২ বছর। আমাদের বেশিরভাগ অর্জনই হয়েছে এই ১২ বছরে। ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আমাদের সকল অর্জন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।  

মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব এবং সুচিন্তিত মতামত আমাদের অর্থনীতিকে যে গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আমি বিশ্বাস করি আগামীতে আমরা ভালো অর্জন করতে পারবো। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাবো। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বিশ্বের কাতারে আমাদের সামিল করবো।