চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মাণের দায়িত্বে থাকা চীনা কোম্পানিকেই এর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ কাজের জন্য চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে (সিসিসিসি) এ দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন পায়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কমিটির সভাশেষে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে সভার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, “চীন সরকারের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে, সে অনুযায়ী তাদেরকে কাজ দিয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ টানেলের নির্মাণ কাজও করছে চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি।
চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাইয়ের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ এর আদলে গড়ে তুলতে কর্ণফুলী নদীর দুইপাড়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সরকার।
নির্মাণাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ কক্সবাজার ও বন্দরনগরীর মধ্যে উন্নত যোগাযোগের সেতুবন্ধ তৈরি করার মাধ্যমে বিনিয়োগ উৎসাহী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নদীর দক্ষিণে আনোয়ারায় রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইপিজেড, সিইউএফএল, পারকি সমুদ্র সৈকত। কর্ণফুলী পেরিয়ে আনোয়ারা দিয়েই কক্সবাজার, বাঁশখালী ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে যেতে হয়।
কর্ণফুলী টানেল: নির্মাণ প্রায় শেষ, এখন ‘যানজট নিয়ে পরিকল্পনা’
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। অনুমোদনের দুই বছর পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
তখন একদফা ব্যয় বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ধরা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৩ হাজার ৯৬৭ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং চীন সরকারের অর্থ সহয়তা ৫ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
২০১৫ সালে অনুমোদন পাওয়া এ প্রকল্পে সময়মতো অর্থ ছাড় না করায় কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের শেষের দিকে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে টানেলের কাজ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।