গ্রামেগঞ্জে গিয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, ঐক্য ছাড়া মুক্তি মিলবে না : ফখরুল
বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঐক্য ছাড়া মুক্তি মিলবে না। তাই এখন গ্রামেগঞ্জে গিয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করতে হবে। এটাই হবে রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রধান কাজ।
আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মরহুম কাজী জাফর আহমদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কিংবদন্তি নেতা ছিলেন কাজী জাফর আহমদ। দেশের ক্রান্তিকালে তিনি সবসময়ই সাহসী ভুমিকা গ্রহণ করতেন। তিনি সবার কাছেই ছিলেন একজন গ্রহণযোগ্য ও সজ্জ্বন ব্যক্তিত্ব।
মির্জা ফখরুল ইমলাম বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনে মিডিয়া যে ভূমিকা পালন করেছে সেই ভূমিকা কিন্তু ২০১৮ সালে পালন করতে পারেনি। কারণ ২০১৮ সালে মিডিয়াকে সরকারের পক্ষ থেকে বলে দেয়া হয়েছে সব কিছু প্রকাশ করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, বিচার বিভাগও এখন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। দেশ এখন কঠিন সময় পার করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেব আমাদের এখন প্রধান কাজ হচ্ছে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করা। দেশবাসীকে বুঝাতে হবে দেশ এখন একটি কঠিন সংকটের মধ্যে পরেছে। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে হলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
কাজী জাফর আহমদের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, কাজী জাফর আহমদ এই ঐক্যের কথাটিই সব সময় বলেছেন। সারা জীবন তিনি গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন। যারা দেশকে ভালবাসেন দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে চান, তারা দ্বিধাবিভক্ত হবেন না। ফেসবুকে কি লিখেছে তা নিয়ে ভুল বুঝবেন না।
মির্জা ফখরুল সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার বিষয়ে না বুঝে নেতিবাচক মন্তব্য না করতেও সবার প্রতি অনুরোধ করেন। তিনি বলের, দেশনেত্রীর মুক্তি হলে গণতন্ত্র মুক্ত হবে। তাই নিজেদেরে মধ্যে কোনো ভুল বুঝাবুঝির সুযোগ নেই।
জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামান হায়দারের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা’র মহাসচিব লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জাফরুল্লাহ খান চৌধুরী (লাহুরী), কাজী জাফরের মেয়ে কাজী জয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি সেলিম মাষ্টার, নওয়াব আলী আব্বাস খান, এডভোকেট শফিউদ্দিন ভূইয়া, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, রুহুল আমীন, এ এস এম শামীম, ডা. এম এ মামুন ভুইয়া, মহসীন সরকার প্রমুখ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের চারদিকে অশুভ শক্তির তৎপরতা শুরু হয়েছে। ভারত বাংলাদেশকে ভাগ করে অর্ধেক অংশ নিয়ে নিতে চায়। অথচ সরকারের টু শব্দটি করছে না। তিনি বলেন, ভারত কোনো সময়ই বাংলাদেশে শান্তি শৃংখলা বজায় থাকুক সেটা চায় না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সব সময়ই নতজানু নীতি গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের সামনে সময় এসেছে ভারতে মুখোশ উন্মোচন করার।
তিনি বলেন, আমরা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী মৃত্যুবার্ষিকী ঘটা পালন করছি কিন্তু তিনি সে নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন আওয়ামী লীগ এখন তার ধারে কাছেও নেই।
ড. মাহবুবউল্লাহ বলেন, কাজী জাফর আহমদ ছাত্রনেতা হিসেবে যেমন জনপ্রিয় ছিলেন, তেমনি তিনি শ্রমিক নেতা হিসেবেও একইভাবে সমান জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি অনেক উচ্চপদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন কিন্তু তার মনে কোনো পরিবর্তন হয়নি। কাজী জাফর আহমদ একজন ভিন্নমাত্রার রাজনৈতিক বিশ্লেষক ছিলেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সূত্র-বিএনপির ওয়েবসাইট