ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় এক শিশুকে (৯) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গৃহশিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই গৃহ শিক্ষকের নাম আফাজ উদ্দিন (২৪)। তাঁর বাড়ি উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নে। শিশুটি একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিদিন সন্ধ্যায় তার বাড়িতে গিয়ে তাকে আরবি পড়াতেন আফাজ উদ্দিন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গত রোববার সন্ধ্যায় শিশুটির বাড়িতে পড়াতে যান আফাজ উদ্দিন। শিশুটিকে পড়ানোর সময় তার মা পাশের ঘরে চলে যান। এ ফাঁকে আফাজ উদ্দিন শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার ও কান্না শুরু করে। কান্নার শব্দ শুনে শিশুর মা ঘরে এসে বিষয়টি জানতে পারেন। তখন তিনি প্রতিবেশীদের ডেকে গৃহশিক্ষকের অপকর্মের চেষ্টার কথা জানান।
স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল করে বিষয়টি জানান। পরে পরশুরাম থানা-পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে গৃহশিক্ষক আফাজ উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাতেই শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরশুরাম থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আফাজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে তুললে বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরার আদালতে শিশুটির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। আদালত আফাজ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।