বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ ছাড়া কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে জাতিকে জ্ঞান দিচ্ছেন। অথচ প্রতিদিন গণমাধ্যমে বিএনপির নেতাদের মিথ্যাচারের বিস্তারিত সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে। তারপরও তাঁরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অবান্তর প্রশ্ন তুলছেন।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার আকাশ উন্মুক্ত হয়েছে। এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শুধু সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নয়, বেসরকারি টেলিভিশনও বাণিজ্যিক সম্প্রচারের সুবিধা ভোগ করছে।
তিনি বলেন, দেশে প্রায় অর্ধশত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইন টিভি, আইপি টিভিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে গণমাধ্যমের অবারিত দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি হাজারেরও বেশি দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকা এবং অসংখ্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল রয়েছে।
যেখানে সব রাজনৈতিক দলের সংবাদ বিস্তারিত প্রকাশিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং অধিকার সুপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘গণমাধ্যম কর্মী আইন’ প্রণয়নের উদ্যাগ নিয়েছে। অথচ বিএনপির শাসনামলে সাংবাদিকদের মর্যাদা ও অধিকার বিবেচনা করা হয়েছিল শ্রম আইনের আওতায়।
বিএনপির আমলে ১৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সে সময় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পাঁচ শতাধিক মামলা হয়েছিল। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা প্রায় ৮০০টি।