শিরোনাম
অনলাইনে কুতথ্য প্রতিরোধে সফল ভূমিকা রাখছে আইইডি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন নিত্যপণ্যের দাম কমানো, রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে গাইবান্ধায় বাম জোটের বিক্ষোভ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জরুরী পদক্ষেপের দাবি বাম জোটের জ্বালানি খাতে এখনই ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব খাওয়ার স্যালাইনের সহ-উদ্ভাবক বাংলাদেশের বন্ধু রিচার্ড ক্যাশ মৃত্যু বরণ করেছেন বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে তিনবার  কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগের আলটিমেটাম  বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত টাকা ফেরাতে  আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক সহযোগিতায় রাজি শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক জাগরণ যাত্রার ডাক সিপিবি’র

ঢাবির সাবেক ভিসি আনোয়ার উল্লাহ

কোন উপাচার্যের সময় পুলিশ ঢুকে নাই?

কোন উপাচার্যের সময় পুলিশ ঢুকে নাই?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর সম্প্রতি ছাত্রলীগের হামলাকে কেন্দ্র করে কর্তৃপক্ষের করা অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামা কেন? আপনারা তো দেখেছেন কার হাতে লাঠি। ছাত্রলীগের গুন্ডাদের হাতে লাঠি, হকিস্টিক, রাম দা ছিল। তাহলে অজ্ঞাতনামা হলো কেন? গ্রেপ্তার করেছেন ছাত্রদলের ছেলেদের।

আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। আলোচনা সভার আয়োজন করে ভয়েস ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ভোটার রাইটস।

আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরীর সময় শামসুন্নাহার হলে ছাত্রীদের ওপর পুলিশের নির্যাতনের ঘটনায় তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। নিজের পদত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোন উপাচার্যের সময় পুলিশ ঢুকে নাই? কিন্তু কয়জন ভিসি পদত্যাগ করেছেন? এখন ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে। কেউ পদত্যাগ করেছেন?’

আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজকে সন্ত্রাসীদের একটা জায়গা হয়েছে। সন্ত্রাসী লালন–পালন করা হয়। সেখানে শিক্ষক নিয়োগের নামে ভোটার নিয়োগ করা হয়।

নিয়োগের বিষয়ে আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, এখন কারও নিয়োগ হলে তাঁর বাবা, দাদা বিএনপি করত কি না, তা দেখা হয়। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে নগ্নভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ধশিক্ষিত গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে। একজন প্রবীণ শিক্ষক হিসেবে এটা হতাশার। সাবেক এই উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বন্দুক ও বই একসঙ্গে থাকতে পারে না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা প্রকাশের সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার। সঞ্চালনা করেন হুমায়ুন কবির ব্যাপারী। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন ও খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদির গণি চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক শাহ আলম প্রমুখ।