শিরোনাম
চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামীকাল শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দিলে দেশের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকীতে পড়বে গ্রামীণ মজুরদের কাজ, ন্যায্য মজুরির নিশ্চয়তা দিতে হবে মিরপুরে আগুনে পুড়িয়ে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করছেনা সিপিবিসহ চার বামদল জুলাই জাতীয় সনদের সর্বশেষ সংস্করণ সংশোধন না হলে স্বাক্ষর সম্ভব নয় আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার তদন্ত ও বিচার করতে হবে  মিরপুরের আনোয়ার ফ্যাশন ও কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সিপিবি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোক ও সমবেদনা চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের লিজ দিতেই অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসেছে - সিপিবি এই সনদে সংবিধানের চার মূল নীতিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে

মার্কিন নেতৃত্বে এশিয়ায় নতুন ‘অর্থনৈতিক জোট’, সিপিবির উদ্বেগ

মার্কিন নেতৃত্বে এশিয়ায় নতুন ‘অর্থনৈতিক জোট’, সিপিবির উদ্বেগ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ‘আইপিইএফ’ নামে যে নতুন অর্থনৈতিক জোট গঠন করা হয়েছে, তাকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। 

শনিবার (২৮ মে) সিপিবি সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ্ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরসহ এশিয়ার ১৩টি দেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে নতুন জোট গঠন করেছে, তা স্পষ্টতই দুরভিসন্ধিমূলক। সবচেয়ে উদ্বেগের কথা হলো, বাংলাদেশকে এই জোটে যুক্ত করতে নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

বিবৃতিতে সিপবির পক্ষ থেকে বলা হয়, জাপান সফরকালে এই জোটের ঘোষণা দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাদের মন্দ অভিপ্রায় অনেকটাই প্রকাশ করে ফেলেছেন। তা হলো- এশিয়ার বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ আধিপত্য এবং সেটি উৎপাদনের জোরে নয়, বরং তদারকি ক্ষমতার জোরে।

শুরুতেই এই জোটের আলোচনায় বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি চীনকে বাইরে রাখা হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র কাম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমারকে।

বিবৃতিতে তারা বলেন, এ জোটের ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র জোটভুক্ত দেশগুলোর সাপ্লাই চেইন, জ্বালানি খাত, বাণিজ্য কর, শ্রম আইন ইত্যাদি বিষয়ে তদারকিমূলক ভূমিকা রাখবে। ফলে বেশ পরিষ্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কার কর্তৃত্ব প্রধান হবে। শুধু তাই নয়, বাণিজ্য জোটের নামে এটি আসলে এক ধরনের রাজনৈতিক জোট। যার লক্ষ্য হলো, ইউক্রেন যুদ্ধের নয়া প্রেক্ষাপটে চীন এবং রাশিয়ার বিপরীতে তাদের নিজস্ব শক্তিবলয় গড়ে তোলা। একই সঙ্গে এশিয়ায় ন্যাটোর দীর্ঘমেয়াদী উপস্থিতির প্রেক্ষাপট শক্তিশালী করা এবং এক পর্যায়ে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পকে বিঘ্নিত করা। যা নিশ্চিতভাবেই এশিয়ায় বিরাট সংঘাতের জন্ম দেবে। এশিয়ার জনগণ কোনোভাবেই এই সংঘাতময় পরিস্থিতিকে স্বাগত জানাতে পারে না। 

অবিলম্বে এই জোট (আইপিইএফ) প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি, এবং বাংলাদেশ সরকারকেও কোনোভাবেই এই জোটে শরিক না হয়ে নিরাপদ দূরত্বে থাকার জোর দাবিও জানান সিপিবি নেতারা।