চালের অবৈধ মজুদ খুঁজতে মাঠে নামছে প্রশাসন

ধান ও চালের অবৈধ মজুদ রোধে খোলা হয়েছেকন্ট্রোল রুম


চালের অবৈধ মজুদ খুঁজতে মাঠে নামছে প্রশাসন

সারা দেশে ধান ও চালের অবৈধ মজুদ খুঁজে বের করতে ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে’ মাঠে নামবে খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন তদারক সংস্থা। মঙ্গলবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে ।

অবৈধ মজুদ প্রতিরোধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এনএসআই, র‌্যাব ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকেও ‍চিঠি দেওয়া হবে। যদি অবৈধ মজুদ পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

উল্লেখ্য ১৯৫৬ সালের অ্যাসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্টে বলা আছে কোন পর্যায়ে কতটুকু মজুদ রাখা যাবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে এবং ২০২১ সালে দুটি আদেশ জারি করা হয়।

২০১১ সালে জারি করা বিধিতে বলা হয়, সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যবসায়ী এক টনের বেশি খাদ্য সামগ্রী তার অধিকারে রাখতে পারবে না।

অনুমোদিত ব্যবসায়ীদের মধ্যে পাইকারি ব্যবসায়ী সর্বোচ্চ তিনশ টন ধান অথবা চাল ত্রিশ দিন পর্যন্ত মজুদ রাখতে পারবেন। খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৫ টন ধান অথবা চাল ১৫ দিন মজুদ রাখতে পারবেন।

চালকল মালিকরা পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতার ৫ গুণ ধান সর্বোচ্চ ৩০ দিন মজুদ রাখতে পারবেন। পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতার দ্বিগুণ চাল সর্বোচ্চ ১৫ দিন মজুদ রাখা যাবে।

হাস্কিং মিল মালিকরা সর্বোচ্চ ১০০ টন ১৫ দিন মজুদ রাখতে পারবেন।

অভিযানের সার্বিক দিক দেখভাল করার জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি কনট্রোল রুম চালু করা হচ্ছে বলে জানান খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের তিনটি টিম ও খাদ্য অধিদপ্তরের পাঁচটি টিম মাঠে নামছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চলবে।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধান-চালের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়; যেখান থেকে দেশের কোথাও অবৈধ মজুদ হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ধান ও চালের অবৈধ মজুদ রোধে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। অবৈধ মজুদের বিষয়ে সেখানে তথ্য জানাতে +৮৮০২২২৩৩৮০২১১৩, ০১৭৯০৪৯৯৯৪২ এবং ০১৭১৩০০৩৫০৬ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।