হলমার্ক দেখে সোনার গহনা কিনুন: বাজুস

বাজুস আয়োজিত ‘স্বর্ণের মানোন্নয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা


হলমার্ক দেখে সোনার গহনা কিনুন: বাজুস

হলমার্ক দেখে মানসম্মত সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন- বাজুস। সংগঠনটি বলেছে- সঠিক মানের সোনার গহনা ক্রয় ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। এই লক্ষ্যে ক্রেতাদের মান যাচাই করে সোনার গহন কেনার অনুরোধ করেছেন বাজুস নেতারা।

আজ ০১ জুন-২০২২, দুপুর ১২ টায়, রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের লেভেল ১৯-এ বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন- বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট আয়োজিত ‘স্বর্ণের মানোন্নয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে চেয়ারম্যান ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান দোলন।

মতবিনিময় সভায় বাজুসের সাবেক সভাপতি এম এ ওয়াদুদ খান বলেন- দেশে যে সব সোনার মান নিয়ন্ত্রণে ল্যাব রয়েছে, তা আরও উন্নত করা জরুরি। এ সব ল্যাব আধুনিকায়ন করতে হবে। হলমার্ক ছাড়া সোনার গহনা বিক্রি করা যাবে না।

বাজুসের সাবেক সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন- যারা নিম্মমানের সোনার গহনা বিক্রি করছে, তাদের ওপর নজরদারি করতে হবে। বাজুসের একটি মনিটরিং ঠিম গঠন করে সোনার মানন্নোয়ন করতে হবে। 

বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলিপ কুমার রায় বলেন- যে কোন মূল্যে সোনার মান ঠিক করতে হবে। সোনার গহনার ক্রেতাদের ঠকানো যাবে না। দেশের সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ মানের গহনা বিক্রি করতে হবে।

বাজুসের সাবেক সভাপতি ও সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলন বলেন- এখন থেকে কোন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান হলমার্ক ছাড়া সোনার গহনা বিক্রি করবেন না, আবার ক্রেতারাও কিনবেন না। সঠিক মানের সোনার গহনা ক্রয় ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। ক্রেতাদেরও মান যাচাই করে সোনার গহন কেনার অনুরোধ করছি। এই খাতে প্রতারকদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে বাজুস।

বাজুসের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন- নিম্মমানের সোনার গহনা তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন চোরাকারবারির দায়িত্ব বাজুস নেবে না।

বাজুসের সহসভাপতি এম এ হান্নান আজাদ বলেন- যে সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান নিম্মমানের সোনার গহনা বিক্রি করে, তাদের আইনি পদক্ষেপ ও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দেশের বাজারে সোনার গহনার আর্ন্তজাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে।

বাজুসের সহসভাপতি বাদল চন্দ্র রায় বলেন- কিছু কিছু জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে নিম্মমানের যে সব সোনার গহনা বিক্রি হয়, এটা বন্ধ করতে হবে।

ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন- হলমার্ক ছাড়া যে সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান সোনার গহনা বিক্রি করছে, তাদের শো- রুম পরিদর্শন করে, হলমার্ক যুক্ত গহন বিক্রি করতে উৎসাহিত করতে হবে।

ওই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন- বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরাওয়ালা, বাজুসের সহ- সম্পাদক সমিত ঘোষ, বাজুসের সহ- সম্পাদক ও সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে ভাইস- চেয়ারম্যান বিধান মালাকার, বাজুসের সহ- সম্পাদক জয়নাল আবেদিন খোকন ও লিটন হাওলাদার, বাজুসের কোষাধক্ষ্য উত্তম বণিক, বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বাবুল মিয়া, পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, রিপনুল হাসান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে সদস্য সচিব ইকবাল উদ্দিন।