শিরোনাম
নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুবব্রত দাস ধ্রুব’র অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনলাইনে কুতথ্য প্রতিরোধে সফল ভূমিকা রাখছে আইইডি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন নিত্যপণ্যের দাম কমানো, রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে গাইবান্ধায় বাম জোটের বিক্ষোভ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জরুরী পদক্ষেপের দাবি বাম জোটের জ্বালানি খাতে এখনই ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব খাওয়ার স্যালাইনের সহ-উদ্ভাবক বাংলাদেশের বন্ধু রিচার্ড ক্যাশ মৃত্যু বরণ করেছেন বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে তিনবার  কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগের আলটিমেটাম  বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত টাকা ফেরাতে  আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক সহযোগিতায় রাজি

হলমার্ক দেখে সোনার গহনা কিনুন: বাজুস

বাজুস আয়োজিত ‘স্বর্ণের মানোন্নয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা


হলমার্ক দেখে সোনার গহনা কিনুন: বাজুস

হলমার্ক দেখে মানসম্মত সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন- বাজুস। সংগঠনটি বলেছে- সঠিক মানের সোনার গহনা ক্রয় ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। এই লক্ষ্যে ক্রেতাদের মান যাচাই করে সোনার গহন কেনার অনুরোধ করেছেন বাজুস নেতারা।

আজ ০১ জুন-২০২২, দুপুর ১২ টায়, রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের লেভেল ১৯-এ বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন- বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট আয়োজিত ‘স্বর্ণের মানোন্নয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে চেয়ারম্যান ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান দোলন।

মতবিনিময় সভায় বাজুসের সাবেক সভাপতি এম এ ওয়াদুদ খান বলেন- দেশে যে সব সোনার মান নিয়ন্ত্রণে ল্যাব রয়েছে, তা আরও উন্নত করা জরুরি। এ সব ল্যাব আধুনিকায়ন করতে হবে। হলমার্ক ছাড়া সোনার গহনা বিক্রি করা যাবে না।

বাজুসের সাবেক সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন- যারা নিম্মমানের সোনার গহনা বিক্রি করছে, তাদের ওপর নজরদারি করতে হবে। বাজুসের একটি মনিটরিং ঠিম গঠন করে সোনার মানন্নোয়ন করতে হবে। 

বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলিপ কুমার রায় বলেন- যে কোন মূল্যে সোনার মান ঠিক করতে হবে। সোনার গহনার ক্রেতাদের ঠকানো যাবে না। দেশের সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ মানের গহনা বিক্রি করতে হবে।

বাজুসের সাবেক সভাপতি ও সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলন বলেন- এখন থেকে কোন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান হলমার্ক ছাড়া সোনার গহনা বিক্রি করবেন না, আবার ক্রেতারাও কিনবেন না। সঠিক মানের সোনার গহনা ক্রয় ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। ক্রেতাদেরও মান যাচাই করে সোনার গহন কেনার অনুরোধ করছি। এই খাতে প্রতারকদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে বাজুস।

বাজুসের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন- নিম্মমানের সোনার গহনা তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন চোরাকারবারির দায়িত্ব বাজুস নেবে না।

বাজুসের সহসভাপতি এম এ হান্নান আজাদ বলেন- যে সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান নিম্মমানের সোনার গহনা বিক্রি করে, তাদের আইনি পদক্ষেপ ও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দেশের বাজারে সোনার গহনার আর্ন্তজাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে।

বাজুসের সহসভাপতি বাদল চন্দ্র রায় বলেন- কিছু কিছু জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে নিম্মমানের যে সব সোনার গহনা বিক্রি হয়, এটা বন্ধ করতে হবে।

ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন- হলমার্ক ছাড়া যে সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান সোনার গহনা বিক্রি করছে, তাদের শো- রুম পরিদর্শন করে, হলমার্ক যুক্ত গহন বিক্রি করতে উৎসাহিত করতে হবে।

ওই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন- বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরাওয়ালা, বাজুসের সহ- সম্পাদক সমিত ঘোষ, বাজুসের সহ- সম্পাদক ও সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে ভাইস- চেয়ারম্যান বিধান মালাকার, বাজুসের সহ- সম্পাদক জয়নাল আবেদিন খোকন ও লিটন হাওলাদার, বাজুসের কোষাধক্ষ্য উত্তম বণিক, বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বাবুল মিয়া, পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, রিপনুল হাসান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে সদস্য সচিব ইকবাল উদ্দিন।