বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৫৯%

গত ১০ মাসে এসেছে পৌনে ৮ বিলিয়ন


বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৫৯%

বড় অঙ্কের বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ের ধারাবাহিকতা গত এপ্রিল শেষেও বজায় রয়েছে।

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বাড়ায় জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে বিদেশি অর্থায়নে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৯ শতাংশ; মোট অর্থছাড় হয়েছে প্রায় পৌনে আট বিলিয়ন।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগী ও দাতা দেশের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতির বিপরীতে ঋণ ও অনুদান মিলিয়ে ৭৭০ কোটি ৮৫ লাখ ডলার অর্থ পাওয়া গেছে।

গত ২০২০-২১ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে মোট বৈদেশিক অর্থায়ন মিলেছিল ৪৮৪ কোটি ২৪ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছে ২৮৫ কোটি ১৭ লাখ ডলার।

ভারতের সঙ্গে চলমান লাইন অব ক্রেডিট ক্রেডিটের (এলওসি) একটা উল্লেখযোগ্য ছাড় এ মাসে (এপ্রিলে) যুক্ত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) বাস্তবায়নও ভালো হচ্ছে বলে অন্যান্য দাতাদের ছাড়ও ভালো হয়েছে। সব মিলে মাত্র ১০ মাসেই প্রায় পৌনে আট বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ ছাড় হয়েছে।

তবে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার ছাড় করা কিছু অর্থ গত মাসে (এপ্রিলে) আনা সম্ভব হয়নি।

 

চলতি অর্থবছরে এডিপির আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নের খাত থেকে লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে ৭০ হাজার ২৫০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। সে হিসাবে এবার পুরো অর্থবছরে ৮১৬ কোটি ৮৬ লাখ ডলার ছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।

এদিকে চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে আরও প্রায় ১০ শতাংশ বেশি প্রতিশ্রুতি আদায় হয়েছে। এপ্রিল পর্যন্ত নতুন প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে ৫৮৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময় পর্যন্ত মোট প্রতিশ্রুতি আদায় হয়েছিল ৫২৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলার।

বিদেশি অর্থায়ন পাওয়ার বিপরীতে চলতি অর্থব্ছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে পুঞ্জিভূত পাওনা থেকে সুদ ও আসল হিসাবে মোট ১৭৫ কোটি ১৮ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে পরিশোধ করা হয়েছিল ১৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।