প্রসঙ্গ: সাকি-সাইফুল ও বাম বলয়

তারিক হোসেন মিঠুল


প্রসঙ্গ: সাকি-সাইফুল ও বাম বলয়

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমার কয়েকজন অতিপরিচিত এমপি/মন্ত্রীর মধ্যে জোনায়েদ সাকী আর সাইফুল হক থাকছেন বোধকরি! যেমনটি ছিলেন বিগত তিনবারে আওয়ামী লীগের সাথে তিনজন- হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও দিলীপ বড়ুয়া!

আগাম অভিনন্দন দক্ষিণঝোঁক এই নেতৃবৃন্দকে!

এভাবেই উদীত সূর্য অস্ত যায়, আবার নতুন সূর্যোদয়, আবার সেও অস্ত যায়!

এভাবেই বাম ঘাড়ে পা রেখে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়া চক্র বৃত্তাকারে লুটে নেয় বাম আন্দোলনের সব সম্ভাবনা! মানুষ আস্থা হারায়! বারবার বাম শিবির এভাবেই দক্ষিণপন্থার আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে মানবমুক্তির সম্ভাবনা! মেহনতী মানুষের হাহাকার-কান্না এভাবেই বাতাসে মিলে যায় বারবার!

যে দেশের অধিকাংশ মানুষ মেহনত করে খায়, বাঁচে; যে দেশের মানুষ লুটেরার খপ্পরে হয় সর্বশান্ত-সর্বহারা; যে দেশ বারবার সেই সব অশুভকে মোকাবেলা করে টিকে রয়- সেই দেশে মেহনতী মানুষের অবস্থা আর ব‍্যবস্থা বদলের লড়াই বারবার হোঁচট খায় কেন?

কারণটা খুবই স্পষ্ট! বাম বলয়ের মধ্যে ঘাপটিমেরে থাকা ডানের দালাল চক্র লুকিয়ে থাকে! আর এই লুকিয়ে থাকা শয়তানদের যতদিন পর্যন্ত না চিহ্নিত করা না যাবে ততদিন বামপন্থী রাজনীতি শক্তিশালী হবার সম্ভাবনা কম।

বাংলাদেশের বাম বলয়কে তাই বৃহত্তর বাম ঐক্যের ক্ষেত্রে তাকে আরো সতর্ক ও কঠোর হবার কোনো বিকল্প নেই। জোটে এবিষয়ে আরো স্পষ্ট ও সোজাসাপ্টা আলোচনা হতে হবে।

যারা শর্ত ভেঙ্গেছে ও নানাভাবে সরকারি সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে, এমপি-মন্ত্রী হয়েছে বা হবার মোহে নতুন করে সুযোগের অপেক্ষায় - তাদেরকে আর যা-ই হোক বাম বলা যাবে না। তাদেরকে আর বাম জোটে গ্রহণের কোনো সুযোগ থাকতে পারে না। এসব দলের সদস্যপদ কেবলমাত্র স্থগিতকরণ নয়, বরং তাদের স্থায়ীভাবে জোট থেকে বহিস্কার করা বাঞ্চনীয়। আর যারা জোটে রয়েছে, তাদের সাথেও আগাম সোজাসাপ্টা আলোচনা করেই সামনে এগোতে হবে।।

বামপন্থী শক্তির উত্থান ছাড়া এদেশের মানুষের মুক্তি নেই।