ঢাকার মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন শ্রমিক এলাকায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনে দমন-পীড়ন বন্ধ করে চলতি মাস থেকে অন্তত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা চালু এবং অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ২০ হাজার টাকা ন্যূনতম বেসিক মজুরি ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। আজ ৬ জুন ২০২২, সোমবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সকল দাবি উত্থাপন করেন।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কার্যকরী সভাপতি কাজী রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, কেন্দ্রীয় নেতা সাদেকুর রহমান শামীম, জালাল হাওলাদার, এম এ শাহীন, দুলাল সাহা, আলম সরকার প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতি এবং জীবন ব্যয়ের মাত্রাহীন বৃদ্ধির মুখে দাড়িয়ে গার্মেন্ট শ্রমিকদের পক্ষে আর কোনোভাবেই জীবনধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে দেশের গার্মেন্ট শ্রমিকরা বিভিন্ন শিল্প এলাকায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছে। শ্রমিকদের এই চলমান আন্দোলন দমনে সরকার দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা-গ্রেফতার ও নির্যাতন চলছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি ও বাড়ি ভাড়াসহ জীবন যাত্রার ব্যয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত প্রায় দুই বছর ধরে গার্মেন্ট শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু শ্রমিকদের বাঁচার মত মজুরির দাবির প্রতি সরকার ও মালিকপক্ষ কর্ণপাত করছে না।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য অতীতে প্রতিবারই শ্রমিকদের কঠোর আন্দোলন, অনেক ত্যাগ শিকার এবং জুলুম-নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। তার পরেও কখনোই শ্রমিকদের দাবির কাছাকাছি কিংবা তৎকালীন বাজারদর অনুযায়ী কোন মতে বাঁচার মত মজুরিও আদায় হয়নি। প্রতিবারে গ্রেড চুরিসহ নানান কারসাজির মাধ্যমে শ্রমিকদের প্রকৃত আয় কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
সমাবেশ থেকে বলা হয়, আন্দোলন দমনের পথ পরিহার করে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার মধ্য দিয়েই শিল্পে উৎপাদনের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কদম ফুল ফোয়ারা সেগুনবাগিচা এলাকা ঘুরে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।