শাহজালাল বিমান বন্দরে ই-গেট চালু

১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন শাহজালাল বিমান বন্দরে

১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন শাহজালাল বিমান বন্দরে

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য গতকাল থেকে পুরোপুরি ভাবে ই-গেট ইলেকট্রনিক গেট (ই-গেট) অর্থাৎ স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা কার্যক্রম সেবা চালু করা হয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানান, গত রোববার ও সোমবার পরীক্ষামূলকভাবে এই ই- গেট ব্যবহার করা হয়েছিল। এতে দেখা গেছে, মাত্র ১৮  সেকেন্ডেই একজন যাত্রী নিজের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন।

কামরুল ইসলাম  জানান, বিমানবন্দরের ডিপার্চার (বহির্গমন) এলাকায় মোট ১২টি এবং অ্যারাইভাল (আগমনী) এলাকায় ৩টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে।

কামরুল ইসলাম জানান, গেট  এ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে  পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম এবং ই-পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদাত হোসাইনসহ বিভিন্ন সংস্থার অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে ই-গেটের মাধ্যমে কয়েকজন যাত্রীর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

বাংলাদেশ পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ই-পাসপোর্ট নিয়ে যখন ই-পাসপোর্টধারী একজন ব্যক্তি ই-গেটের কাছে যাবেন, তখন একটি নির্দিষ্ট স্থানে ই-পাসপোর্টটি রাখলে সঙ্গে সঙ্গে  গেট খুলে যাবে। নির্দিষ্ট নিয়মে গেটের নিচে দাঁড়ানোর পর ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। এরপর সব ঠিকঠাক থাকলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যাত্রী ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। তবে, এ এক্ষেএে কেউ যদি ভুল করেন, তাহলে লাল বাতি জ্বলে উঠবে। তখন সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে  সঠিকভাবে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারে সহযোগিতা করবেন ।

এর আগে ২০১৯ সালেই শাহজালাল বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছিল। নানা অসুবিধার কারণে এতোদিন তা চালু করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কয়েকবার ই-গেট চালুর তাগিদ দিয়েছিলেন। এরপর এটি চালু করতে কাজ শুরু করে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ।

এর আগে ২০১৯ সালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু নানা অব্যবস্থাপনা এবং সমন্বয়হীনতায় দীর্ঘদিন ধরে তা চালু করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কয়েকবার ই- গেট চালুর তাগিদ দেন। এর পর বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ একযুগে কাজ শুরু করে।