বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দলীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের অনাস্থা ভোটে জিতে গেছেন। ফলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী তিনিই থাকছেন।
বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কি না, সে বিষয়ে সোমবার ভোট দেন তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যরা। এতে বরিস জনসনের (৫৭) পক্ষে ২১১ ভোট এবং বিপক্ষে ১৪৮ ভোট পড়ে। যদিও জেতার জন্য জনসনের ১৮০ ভোটের প্রয়োজন ছিল। জয়ী না হলে দলীয় প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ হারাতে হতো তাকে।
আস্থা ভোটে জিতে যাওয়ার পর জনসন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার হিসেবে আমরা এগিয়ে যেতে পারি এবং যে বিষয়গুলো সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ সে সবের ওপর আলোকপাত করতে পারি।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের বিধিনিষিধ উপেক্ষা করে সরকারি বাসভবনে একাধিক পার্টির আয়োজন করেছিলেন বরিস জনসন। এতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমাও চাইতে হয় তাকে।
কারন করোনার বিধিনিষেধের সময় এমন আয়োজন নিষিদ্ধ ছিল। ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিতি পাওয়া সেই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে তা নিয়ে কয়েক দফা তদন্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা সু গ্রে দুই সপ্তাহ আগে ওই ঘটনার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে থেকেই বরিসের পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন অনেকে। প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে সেই দাবি জোরালো হয়।
কনজারভেটিভ পার্টির ‘১৯২২ কমিটি’ দলটির নেতৃত্ব নির্বাচনে কাজ করে থাকে। এই কমিটিতে দলটির ১৫ শতাংশ আইনপ্রণেতা যদি চিঠি দিয়ে দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন তবে তা অনাস্থা ভোটে গড়ায়। ওই কমিটি সোমবার বরিস জনসনের নেতৃত্বের ওপর এ অনাস্থা ভোটের আয়োজন করে।