বিশ্বকাপ ট্রফি এখন ঢাকায়

বিশ্বকাপ ট্রফি এখন ঢাকায়

সকাল থেকেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বাড়তি সতর্কতা। নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর। ভারী অস্ত্র হাতে সতর্ক অবস্থায় ছিলেন আর্মড পুলিশের সদস্যরা। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরও একটু পরপর পুরো লাউঞ্জ ঝাড়পোছে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল। বিমানবন্দরে ছিল গণমাধ্যম কর্মীদের ভিড়।  বিশ্বকাপ ট্রফির বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে এমন আবহই দেখা গেল বিমানবন্দরে। 

 

কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখে গত ১২ মে দুবাই থেকে কোকাকোলার আয়োজনে বিশ্বকাপ ট্রফির বিশ্ব ভ্রমণের শুরু। ৫৬টি দেশ ঘোরার পথে ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক কোকাকোলার উদ্যোগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহায়তায় আজ বাংলাদেশে এসেছে ট্রফিটি।

 

পাকিস্তান থেকে ট্রফিটি ঢাকায় এসেছে একটি বিশেষ বিমানে। ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে ট্রফিটি বেলা ১১টায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও সেটা নেমেছে আরও ২৫ মিনিট পর।

 

ট্রফিটা দেখার জন্য বিমানবন্দরের ভেতরেই আগ্রহ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেখানে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। ট্রফিটা নামতেই হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান সবাই।

 

ট্রফিটির সঙ্গে এসেছেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান কারাম্বু ও ফিফার সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল।

 

বিশ্বকাপ ট্রফিটি বিমানবন্দরে নামতেই সেটিকে পাশে রেখে ছবি তোলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এরপর অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সেরে কারাম্বু একে একে পরিচিত হন বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে।

 

ট্রফিটি কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রাখা হবে রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে।

 

এর আগে ২০১৩ সালেও বাংলাদেশে এসেছিল বিশ্বকাপ। তবে সেবারের ট্রফিটি ছিল রেপ্লিকা। এবার বাংলাদেশে এসেছে আসল ট্রফি।

 

আজ ট্রফিটি যাবে শুধু বঙ্গভবনে আর গণভবনে। সেখানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেখবেন বিশ্বকাপের ট্রফি। বিশ্বকাপ ট্রফির আগমন উপলক্ষে আজ রাতে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে হবে নৈশভোজ। বিশ্বকাপ ফুটবলের অনেক দলের জার্সি বানানো হচ্ছে বাংলাদেশে। তাই নির্বাচিত অতিথিদের সঙ্গে কয়েকজন নারী পোশাককর্মী থাকবেন আজকের নৈশভোজে।

 

তবে আগামীকাল সাধারণ মানুষ বিশ্বকাপ ট্রফি সরাসরি দেখার সুযোগ পাবেন। সকাল সাড়ে দশটা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত আড়াই হাজার নির্বাচিত দর্শক হোটেলে বিশ্বকাপ দেখার সুযোগ পাবেন। তা ছাড়া ছবিও তুলতে পারবেন। এরপর বিকেলে আর্মি স্টেডিয়ামে হবে কনাসার্ট।