জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর মূল তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ভবন থেকে শুরু হয়ে বিজ্ঞান জাদুঘরসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পরিসংখ্যান ভবনে গিয়ে শেষ হয় র্যালিটি।
এর আগে ভোর ৬টা পর্যন্ত ভাসমান মানুষ গণনা করা হয়। পরে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় শুমারির মূল কাজ।
র্যালিতে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম, জনশুমারি প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তার পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তর, সংস্থার কর্মকর্তা, বাংলাদেশ স্কাউটস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), গার্লস গাইড’র সদস্যরা এতে অংশগ্রহ করেন।
বিবিএস জানায়, প্রকল্পের আওতায় ১৫-২১ জুন দেশব্যাপী দেশের প্রতিটি খানার তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। গণনাকারীরা দেশের প্রতিটি খানায় গিয়ে ট্যাবের মাধ্যমে কম্পিউটার অ্যাসিস্টেট পারসোনাল ইন্টারভিউইং (কাপি) পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাত ১২টা থেকে দেশের প্রায় ২০ হাজার স্পট থেকে ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষ গণনার মাধ্যমে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ জনশুমারি।
প্রকল্প পরিচালক মো. দিরদার হোসেন জানান, বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ভাসমান মানুষ গণনা করা হয়েছে। এরপর সকাল ৮টা থেকে শুমারির মূল কাজ শুরু হয়েছে, যা ২১ জুন শেষ হবে। সারাদেশে একযোগে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ গণনাকারী ট্যাবের সাহায্যে সাতদিন ধরে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে এই শুমারি পরিচালনা করবেন। ৬৩ হাজার ৫৪৮ জন সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন আইটি সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন জোনাল অফিসার, ১৬৩ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী এবং ১২ জন বিভাগীয় শুমারি সমন্বকারীর মাধ্যমে এই ডিজিটাল শুমারি সম্পন্ন করা হচ্ছে।