ইউক্রেনে যুদ্ধ চাই না এবং প্যালেস্টাইনী সাংবাদিক শিরিন হত্যার বিচার চাই এই বক্তব্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলন আজ ১৬ জুন ২০২২ বেলা ১২টায় জাত্য প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি জননেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সম্পাদকম-লীর সদস্য এডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শান্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান খান। উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে শান্তি পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, প্রাক্তন মন্ত্রী জনাব দিলীপ বড়ুয়া, প্রাক্তন এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ, এম্বাসেডর মমতাজ হোসেন, ডা. শাহাদাত হোসেন, সম্পাদকম-লীর সদস্য ইসমাইল হোসেন, আশরাফুল হক ঝন্টু, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মিনহাজ সেলিম, রাগীব আহসান মুন্না, সদস্য পার্থ সারথী চক্রবর্তী, আবদুল্লাহ আল ক্বাফী, মহিউদ্দিন আহমেদ, কামাল চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ইউক্রেন এর যুদ্ধ বর্তমান বিশ্বকে এক ভয়াবহ জায়গায় নিয়ে গেছে। প্রতিদিন এ যুদ্ধে ৬০০ থেকে ১০০০ জন মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় অর্ধকোটি নিরীহ মানুষ। এই ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতি ও বিশ্ব তেল বাজারকে বেসামাল করে দিয়েছে। ডলারের বিপরীতে রুবল এবং রুবলের বিপরীতে ডলারের দ্বন্দ আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারকে চরম অস্থিতিশীল করে দিয়েছে। ফলে, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক ছোট ছোট দেশ বিরাট আর্থিক সঙ্কটে পতিত হয়েছে। প্রত্যেকটি দেশে ভোজ্য তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে। ফলে, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। অবিলম্বে এ যুদ্ধ বন্ধের কোন বিকল্প নেই। দ্রুতই আলোচনার মাধ্যমে এ যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
অন্যদিকে, গত ১১ মে আলজাজিরা টিভির সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে কর্তব্যরত অবস্থায় জায়নবাদী ইসরাইলী বাহিনী যেভাবে গুলি করে হত্যা করে তা গোটা বিশ্বের বিবেক কে প্রকম্পিত করেছে। বুকে পিঠে বড় করে চজঊঝঝ লেখা থাকা সত্বেও সাংবাদিক শিরিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। যা যুদ্ধ সংক্রান্ত অবশ্যপালনীয় জেনেভা চুক্তির চরম লংঘন। সাংবাদিক শিরিন হত্যার ঘটনা থেকে আবারো প্রমাণিত হলো, জায়নবাদী ইসরাইলী বাহিনী কোন আন্তর্জাতিক আইন, চুক্তি এবং রীতিনীতির তোয়াক্কা করে না। সুতরাং, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ মনে করে, এই হত্যাকা-ের জন্য দায়ী ইসরাইলী বাহীনিকে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শিরিন হত্যাসহ ইসরাইলী বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু করতে হবে। সভায় রোহিঙ্গা সমস্যার আশু সমাধানের দাবি জানানো হয়।