ঢাকার বাসিন্দাদের মধ্যে যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যারা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেন, তাদের করোনাভাইরাসের টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার।
তাদের মধ্যে যাদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর অন্তত ছয় মাস পেরিয়েছে, তাদেরই এখন তৃতীয় ডোজ দেওয়া হবে। সেজন্য নতুন করে নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। যারা তৃতীয় ডোজ পাওয়ার যোগ্য, তাদের কাছে এসএমএস চলে যাবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেন, “দেশের সবাইকেই দুই ডোজ ভ্যাকসিন অবশ্যই নিতে হবে। কাল থেকে ষাটোর্ধ্ব এবং সম্মুখসারির যোদ্ধারা বুস্টার ডোজ পাবেন।”
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কোভিড টিকার সুরক্ষা দুর্বল হয়ে আসায় কিছু দেশ বাড়তি আরেক ডোজ টিকা দিচ্ছে নাগরিকদের, যাকে বলা হচ্ছে বুস্টার ডোজ।
গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশেও বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরামর্শ দেয় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটি। এরপর গত ১৯ ডিসেম্বরে ৬০ জনকে পরীক্ষামূলকভাবে কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব বলেন, “ওমিক্রনের থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে ও মাস্ক পরতে হবে। এ বিষয়ে আমরা স্থানীয় ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়েও কথা বলেছি, যাতে সেসব এলাকার রিকশাওয়ালা থেকে সবাই ভ্যাকসিন নেয়।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর জানান, যে আগে যে কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, সেই কেন্দ্র থেকেই বুস্টার ডোজ পাবেন।
“যারা নিবন্ধন করে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাদের সব তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। যারা অন্তত ৬ মাস আগে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, তাদের কাছে আজ এসএমএস যাবে। যে কেন্দ্র থেকে আগে টিকা নিয়েছেন, সেই কেন্দ্র থেকেই এসএমএস যাবে। যিনি এসএমএস পাবেন, তিনি টিকা পাবেন। টেক্সট মেসেজ আজ থেকেই পাঠানো হবে।”
আহমেদুল কবীর বলেন, সুরক্ষা অ্যাপ হালনাগাদ করার কাজ এখনও চলছে। সে কারণে আপাতত কেবল ঢাকায় বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। ঢাকার বাইরে দেওয়া হবে আরও কিছুদিন পর।