এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার ৯৩.৫৮

এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার ৯৩.৫৮

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় গড়ে ৯৩.৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন।

এবার নয়টি সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৯৪.০৮, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৯৩.২২ শতাংশ ও কারিগরিতে ৮৮.৪৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।


বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টায় এ ফল প্রকাশ করা হয়। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ‌্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এসএসসি ও সমমানের ফল গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে দুপুর ১২টা থেকে দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট থেকে কিংবা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফল জানতে পারবে। 

শিক্ষা বোর্ডসমূহ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯৩.১৫, এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ৫৩০ জন। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯৪.৮০, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৫৭৮ জন। ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৯৭.৫২, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৯২ জন। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯৩.০৯, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ হাজার ৪৬১ জন। বরিশালে পাসের হার ৯০.১৯, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২১৯ জন। রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৯৪.৭১, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ হাজার ৫০৯ জন। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ৯৬.২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৬২৬ জন।  চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৯১.১২, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৭৯১ জন। এছাড়া, সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৬.৭৮, জিপিএ-৫ পেয়েছে  ৪ হাজার ৮৩৪ জন।  এছাড়া, মাদ্রাসা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৩১৩ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে  জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ১৮৭ জন।


মহামারি করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবার নয় মাস পিছিয়ে গত ১৪ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়, যার মাধ্যমে দেড় বছর পর প্রথম কোনো পাবলিক পরীক্ষায় বসে শিক্ষার্থীরা। সব বোর্ড মিলিয়ে এবার এসএসসিতে পরীক্ষার্থী ছিলো ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন।

এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে বাংলা, ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোতে এবার পরীক্ষা না নিয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়।