ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন মার্কোস জুনিয়র

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন মার্কোস জুনিয়র

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। তিনি সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে। সদ্য বিদায়ী আলোচিত প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের স্থলাভিষিক্ত হলেন মার্কোস জুনিয়র। খবর বিবিসির।

 

প্রেসিডেন্ট হিসেবে মার্কোস জুনিয়রের শপথ রাজনীতিতে মার্কোস পরিবারের বিস্ময়কর পুনরুত্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ১৯৮৬ সালের গণ-অভ্যুত্থানে ফার্দিনান্দ মার্কোসের পতনের মধ্য দিয়ে ফিলিপাইনের রাজনীতি থেকে মার্কোস পরিবার বিদায় নিয়েছিল।

 

 

মার্কোস জুনিয়রের ডাকনাম বং বং। গত মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি বড় ব্যবধানে জয় পান। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট দুতার্তের মেয়ে সারা দুতার্তে ইতিমধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

 

আজ বৃহস্পতিবার দিনের মধ্যভাগে জাতীয় জাদুঘরে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শপথ নেন মার্কোস জুনিয়র। শপথ উপলক্ষে আয়োজিত জমকালো কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন স্ত্রী ও তিন ছেলে।

 

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেওয়া প্রথম ভাষণে ‘ফিলিপাইনের গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ম্যান্ডেট দেওয়ায়’ উপস্থিত জনতাকে ধন্যবাদ জানান মার্কোস জুনিয়র। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী লেনি রোব্রেদোর চেয়ে দ্বিগুণ ভোট পান।

 

 

৬৪ বছর বয়সী মার্কোস জুনিয়র যখন দায়িত্ব নিচ্ছেন, তখনো এক বছরের দীর্ঘ মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে দেশটি। আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতি ও ক্রমবর্ধমান ঋণের কারণে অর্থনৈতিক পূর্বাভাসও আশাবাদী হওয়ার মতো নয়। তিনি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রকৃত নীতি সংস্কারের তেমন সম্ভাবনা দেখছেন না সমালোচকেরা।

 

অবশ্য কেউ কেউ মনে করছেন, দুতার্তের আমলে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে কাজ করতে পারেন মার্কোস জুনিয়র। মাদকের বিরুদ্ধে রক্তাক্ত লড়াই ও সংবাদমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরার জন্য দুতার্তের শাসন কুখ্যাতি পেয়েছিল।