শিরোনাম
গণ-অভ্যুত্থানে উত্তরায় আহত ১৪৬৭ এবং শহীদ ৮২ জন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার, দুর্নীতি ও পাচারকৃত টাকা উদ্ধার এবং রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি বামজোটের আমরা ফেসবুক গরম রাখতে ভালবাসি কালচারাল পলিটিক্স উছিলা সিনেমা মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত ও সংবিধানের মূল ভিত্তির উপর আঘাতকারীদের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান সিপিবির প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ'র স্মরণ সভা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান’এ উত্তরার শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত উত্তরায় সন্তানের নিরাপত্তাহীনতায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকবৃন্দের শোক সমাবেশ কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের পাশাপাশি রাষ্ট্রের সংস্কারের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের ‘‘স্থায়িত্বশীল নগরায়ন: সমস্যা ও সমাধান’’ বিষয়ক বাপা’র পুস্তিকা উম্মোচন

চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস

তৃতীয় মেয়াদের ক্ষমতার পথে সি জিন পিং

তৃতীয় মেয়াদের ক্ষমতার পথে সি জিন পিং

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস শুরু হচ্ছে আগামী রোববার থেকে। এ কংগ্রেসে চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ঐতিহাসিক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হলে, ৬৯ বছর বয়সী সি জিন পিংকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আবার নির্বাচন করা হবে। এতে মাও সে–তুংয়ের পর দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা হিসেবে নিজের জায়গা পোক্ত করছেন তিনি। বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রোববার সেখানে চীনের সব প্রদেশ থেকে ২ হাজার ৩০০ রাজনীতিবিদ জড়ো হবেন। তবে দেশটিতে বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। সি তাই কংগ্রেসের এ আয়োজনে কঠোর করোনা নীতি মানতে বাধ্য করতে পারেন।

কংগ্রেসের এই অনুষ্ঠান আগেভাগেই সবকিছু পরিকল্পনা করে রাখা। তবে এ আয়োজনের বেশির ভাগই অনুষ্ঠিত হবে রুদ্ধদার বৈঠকের মাধ্যমে। কংগ্রেস প্রতিনিধিরা প্রথমে বাছাই করবেন কেন্দ্রীয় কমিটির ২০৪ সদস্য। এই সদস্যরা পরে নির্বাচিত করবেন ২৫ সদস্যের পলিটব্যুরো। এটাকেই চীনের মন্ত্রিসভা বলা যায়। এরাই ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। কেন্দ্রীয় কমিটি পার্টির সাধারণ সম্পাদক তথা সর্বোচ্চ নেতাও নির্বাচিত করে। সি সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে থেকে গেলে পলিটব্যুরোর ২৫ জন তাঁকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ৭ জন উপদেষ্টাও বাছাই করবেন। যাকে বলা হয় ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি’। এসব নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ২০৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিশনেরও প্রভাব থাকে। এই কমিশন, পলিটব্যুরো ও স্ট্যান্ডিং কমিটি মিলে ১৪১ কোটি মানুষকে আগামী পাঁচ বছর পরিচালনা ও শাসন করবে।

চীন বিশেষজ্ঞ জঁ-ফিলিপ্পে বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, সবকিছুই আগেভাগে ঠিক করে রাখা আছে। কারণ, সবাই একমত না হওয়া পর্যন্ত কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে না।’ তবে সমালোচকেরা বলেন, সি তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিবিদ রাখেননি। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে সম্ভাব্য সব রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে তিনি সরিয়ে দিয়েছেন।

কংগ্রেসে প্রথম দিনে সি যে বক্তব্য দেবেন, তাতে আগের মেয়াদের মূল্যায়নের সঙ্গে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য দল এবং দেশের রূপরেখা থাকবে। এর আগে ২০১৭ সালের কংগ্রেসে তিনি চীনা বৈশিষ্ট্যসহ সমাজতন্ত্রের একটি নতুন যুগ ও বেইজিংকে বিশ্বের সঙ্গে আরও যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

রোববারের কংগ্রেস শেষ হলে পরের দিন পলিটব্যুরোর সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে। সি দলের সাধারণ সম্পাদক থেকে গেলে আগামী মার্চে চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের বার্ষিক বৈঠকে তিনি আরেক মেয়াদের প্রেসিডেন্ট হবেন। কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস যদিও তাঁকে পাঁচ বছরের মেয়াদের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারে, তবে বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, আরও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকবেন সি। এমনকি তিনি আজীবন ক্ষমতায় থেকে যেতে পারেন।