শিরোনাম
গণ-অভ্যুত্থানে উত্তরায় আহত ১৪৬৭ এবং শহীদ ৮২ জন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার, দুর্নীতি ও পাচারকৃত টাকা উদ্ধার এবং রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি বামজোটের আমরা ফেসবুক গরম রাখতে ভালবাসি কালচারাল পলিটিক্স উছিলা সিনেমা মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত ও সংবিধানের মূল ভিত্তির উপর আঘাতকারীদের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান সিপিবির প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ'র স্মরণ সভা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান’এ উত্তরার শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত উত্তরায় সন্তানের নিরাপত্তাহীনতায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকবৃন্দের শোক সমাবেশ কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের পাশাপাশি রাষ্ট্রের সংস্কারের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের ‘‘স্থায়িত্বশীল নগরায়ন: সমস্যা ও সমাধান’’ বিষয়ক বাপা’র পুস্তিকা উম্মোচন

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন

‘উচ্চশিক্ষার বেসরকারীকরণ—বাণিজ্যিকীকরণ—সংকোচন ও ফ্যাসিবাদী দু:শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান

‘উচ্চশিক্ষার বেসরকারীকরণ—বাণিজ্যিকীকরণ—সংকোচন ও ফ্যাসিবাদী দু:শাসনের বিরুদ্ধে  আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান

আজ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন, ‘২৩ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।সকাল ১১ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের উদ্বোধন ঘোষণার মধ্যে দিয়ে কনভেনশনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। দিনব্যাপী এই কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী।এছাড়াও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান (ঢাবি), অধ্যাপক আ আল মামুন (রাবি), অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক (রাবি), সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা (ঢাবি), সহকারী অধ্যাপক আর রাজী (চবি), সোহরাব হাসান (কবি ও সাংবাদিক), কমরেড মাসুদ রানা (সমন্বয়ক, বাসদ (মার্কসবাদী),  মাহা মির্জা (শিক্ষক ও গবেষক) সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা।

উদ্বোধন ও প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১১ টা থেকে ১:৩০ টা পর্যন্ত। ১ম অধিবেশনের পরে একটি সুসজ্জিত র‌্যালী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।দ্বিতীয় অধিবেশন বিকাল ৩:৩০ টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭ টায় সভাপতির বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কনভেনশনর পরিসমাপ্তি ঘটে।

উদ্বোধক আনু মুহাম্মদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঋণে, মডেলে, কর্তৃত্বে, ব্যবস্থাপনায় সরকারের এক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় যাচ্ছে, সন্ত্রাস—দখলদারিত্ব—শিক্ষাবিরোধী অপতৎপরতা পাশ কাটিয়ে কেন কীভাবে আরো বাণিজ্যিক ও মুনাফামুখী হচ্ছে, তার ফলাফল কী, দেশের ভবিষ্যতের জন্য—শিক্ষা জ্ঞান সৃজনশীলতার বিকাশে তার প্রভাব কী এসব জানার অধিকার সর্বজনের আছে।ছাত্র ফ্রন্ট বহুবছর ধরে এসব কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। তার ধারাবাহিকতায় আয়োজিত এই কনভেনশনে ২০৩০ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে যে মহাপরিকল্পনা তার নানাদিক স্পষ্ট হবে বলে আশা করি এবং আমি এই কনভেনশনের সাফল্য কামনা করি।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, দেশে ১৪ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে। আওয়ামী শাসনকে পাকাপোক্ত এবং মুনাফা লোটার ক্ষেত্রকে আরো অবাধ করতে নিত্য—নতুন নিয়ম চালু করছে সরকার। বাড়ছে মানুষের অসন্তোষ।অসন্তোষকে আন্দোলনে পরিণত হতে দিতে চায় না শাসকগোষ্ঠী। ফলে মনন জগতে তৈরি করতে চায় তাদের উপযোগী চিন্তা। আর এ লক্ষ্যেই দীর্ঘমেয়াদি—কার্যকরি পরিকল্পনা হিসেবে শাষকগোষ্ঠী শিক্ষার মর্মবস্তু ধ্বংস করে একদিকে যেমন ফ্যাসিবাদের সাংস্কৃতিক জমিন তৈরি করছে, আরেকদিকে চলছে নয়া—উদারীকরণ অর্থনীতির প্রবল জোয়ার।

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেসরকারিকরণ—বাণিজ্যিকীকরণের একেকটি বড় ক্ষেত্র। এ লক্ষ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (টএঈ) এর সংশোধিত ১২ বছর মেয়াদি কৌশল পত্র (২০১৮—২০৩০) বাস্তবায়ন চলছে।আমাদের সংগঠন শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করছে। কারণ, এই কৌশলপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক চরিত্র ধ্বংস করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করবে।

গত ১৭ বছরে কৌশলপত্রের প্রয়োগে আপামর জনসাধারণের উচ্চশিক্ষার অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। তাই কৌশলপত্র বাতিলের লড়াই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রক্ষা তথা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইও। এই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে প্রয়োজন ছাত্র—শিক্ষক সহ সর্বস্তরের সচেতন মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ।