৬ অক্টোবর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির উদ্যোগে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি এড. এস এম এ সবুরের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কমরেড আবিদ হোসেনের পরিচালনায় বাংলাদেশের কৃষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড আব্দুল মন্নানের শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শোকসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমরেড কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড মোঃ শাহ আলম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কমরেড মাহবুব আলম, কমরেড আব্দুল মন্নানের মেঝো সন্তান এ কে এম মাকসুদ, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সহ সভাপতি কমরেড নিমাই গাংগুলি, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমরেড এড. আনোয়ার হোসেন রেজা এবং বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম। শোকসভায় আব্দুল মন্নানের জীবনী পাঠ করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতির নির্বাহী সদস্য কমরেড লাকী আক্তার।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, কমরেড আব্দুল মন্নান এদেশের শ্রমিক-কৃষক আন্দোলনের একজন অন্যতম নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন। শ্রমিকনেতা হিসেবে চিনিকল শ্রমিকদের আন্দোলন সংগঠিত করেছেন বহুবার। একই সাথে আখচাষিসহ কৃষকদের অধিকার আদায়ের লড়াইকে সংগঠিত করেছেন। কৃষকদের দাবি আদায়ে তিনি ছিলেন একজন সাহসী কমরেড। কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান অবিস্মরণীয়।
বক্তারা আরও বলেন, কমরেড আব্দুল মন্নান ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ বিপ্লবী। তিনি ছিলেন আজীবন বিপ্লবপিয়াসী। জীবনের সকল পর্যায়ে একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনি বারবার নিজেকে প্রমান দিয়েছেন। শ্রমিক আন্দোলনে এবং কৃষক আন্দোলনে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বক্তারা আরও বলেন, কমিউনিস্ট আন্দোলনের সংকটকালে তিনি শক্ত ভুমিকা পালন করে পার্টি রক্ষার সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।কৃষক নেতা আব্দুল মন্নান এদেশের কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
শোকসভার শুরুতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি, ঐক্য ন্যাপ, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।