সিপিবি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সিপিবি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র , অসাম্প্রদায়িকতা ও সমাজতন্ত্রের সংগ্রামের অন্যতম স্থপতি, সিপিবি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮৭ সালের ৯ অক্টোবর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজধানী মস্কোতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

কমরেড ফরহাদ ১৯৩৮ সালের ৫ জুলাই পঞ্চগড়ের বোদায় জন্মগ্রহণ করেন। মেধাবী ছাত্র মোহাম্মদ ফরহাদ মহান ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মুুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী লড়াইয়ে প্রথম সারির নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহুবার জেল-জুলুম, হুলিয়া, নির্যাতন ভোগ করেন। ৩৫ বছরের ঘটনাবহুল রাজনৈতিক জীবনে তিনি পাকিস্তান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশে জিয়া-এরশাদের আমলে কারাবরণসহ দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর আত্মগোপন বা কারান্তরালে ছিলেন। ’৫৪ সালে তাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কুখ্যাত নিরাপত্তা আইনে বিনা বিচারে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখা হয়। ১৯৫৫ সালে ১৭ বছর বয়সে মোহাম্মদ ফরহাদ কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় কমরেড ফরহাদ ’৫৯ সাল থেকে গোপনে ছাত্রদের সংগঠিত করতে থাকেন। ১৯৬২ সাল থেকে প্রায় এক বছর হুলিয়া মাথায় নিয়ে গোপনে ছাত্র গণআন্দোলন সংগঠন ও শ্রমিকশ্রেণির পার্টির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে কমরেড ফরহাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে কমিউনিস্ট পার্টি-ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ গেরিলা বাহিনীর প্রধান সংগঠক ছিলেন তিনি।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদের ক্ষমতা দখলের পর সামরিক শাসনবিরোধী রাজনৈতিক ঐক্য তথা ১৫ দলীয় ঐক্যজোট গঠন; জাতীয় দাবি ৫ দফা প্রণয়ন ও যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তিনি বলিষ্ঠ ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।