শিরোনাম
চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামীকাল শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দিলে দেশের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকীতে পড়বে গ্রামীণ মজুরদের কাজ, ন্যায্য মজুরির নিশ্চয়তা দিতে হবে মিরপুরে আগুনে পুড়িয়ে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করছেনা সিপিবিসহ চার বামদল জুলাই জাতীয় সনদের সর্বশেষ সংস্করণ সংশোধন না হলে স্বাক্ষর সম্ভব নয় আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার তদন্ত ও বিচার করতে হবে  মিরপুরের আনোয়ার ফ্যাশন ও কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সিপিবি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোক ও সমবেদনা চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের লিজ দিতেই অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসেছে - সিপিবি এই সনদে সংবিধানের চার মূল নীতিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে

প্যালেস্টাইনে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

প্যালেস্টাইনে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভ

প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মার্কিন মদদপুষ্ঠ জায়নবাদী ইসরাইলী হামলা ও ঐ এলাকা জনমানবশূন্য করার পরিকল্পনার প্রতিবাদে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আজ ১০ অক্টোবর ২০২৩ ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

বিকেল ৫টায় পুরানা পল্টন মোড়ে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ। সভা পরিচালনা করেন সিপিবির সম্পাদক অ্যাড. আনোয়ার হোসেন রেজা।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্যালেস্টাইনকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনাসহ জনগণের উপরে ইসরাইলী নৃশংসতার প্রতিবাদে প্যালেস্টাইন গর্জে উঠেছে। এটা তাদের নায্য সংগত সংগ্রাম। নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৫০ বছরে গাজায় লক্ষাধিক ফিলিস্তিনীদের ঐ অঞ্চলে জমির একটি ছোট এলাকায় এমন করে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যাকে বিশ্বের বৃহত্তম উন্মুক্ত জায়গা হিসেবে বর্ণনা করা যায়। আর এখন ইসরাইলী বাহিনী এমন করে গণহত্যা সংগঠিত করছে যে, ইসরাইলী প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলছে, ‘গাজা এলাকা অবরুদ্ধ থাকবে, বিদুৎ থাকবে না, খাবার থাকবে না, জ্বালানী থাকবে না, সবকিছু বন্ধ’। এ কথার মধ্য দিয়ে ইসরাইলীদের নৃশংসতা আবারো ফুটে উঠলো। ‘মার্কিন ও তার সহযোগীদের মদদ ছাড়া ইসরাইল এসব কথা বলা ও হামলার সাহস পেত না’

নেতৃবৃন্দ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও হিন্দুত্ববাদী মোদী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ইসরাইলী বর্বরতাকে সমর্থন করার মধ্য দিয়ে এরা গোষ্ঠী স্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে। এরা সারা বিশ্বে মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনছে। নতুন করে যুদ্ধ উন্মাদনা তৈরি হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সারাবিশ্বের মানবতাবাদী গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল জনগণকে রুঁখে দাঁড়াতে হবে।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ, ইসরাইলে মার্কিন সমরাস্ত্র প্রদান, নৌবহর প্রেরণসহ সব সহায়তা বন্ধ ও স্বাধীন প্যালেস্টাইনের দাবিতে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশে প্যালেস্টাইনে ইসরাইলী বাহিনীর হামলার নিন্দা না জানানোয় ও মুক্তিকামী প্যালেস্টাইনদের প্রতি সমর্থন না দেওয়ায় সরকারের সমালোচনা করে বলা হয়, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে। অথচ সরকার ফ্যাস্টিট ইসরাইল ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে না। 

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠন ও সম্পূর্ণ ভূখন্ড ফিরিয়ে দেওয়া ছাড়া এই সংকটের সমাধান নেই। এই দাবিতে বিশ্ববাসীকে এক হতে হবে।

সমাবেশে ইসরাইলী হামলার প্রতিবাদে ও প্যালেস্টাইনীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের সমর্থনে আমেরিকার কমিউনিস্ট পার্টির বিবৃতি পাঠ করা হয়।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পার্টি কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।