শিরোনাম
যুব ইউনিয়নের সিলেট জেলা কমিটির দশম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত সমবেত কণ্ঠে নজরুলের "লৌহ কপাট" গাইলেন শিল্পীরা মাত্র চল্লিশে এ কেমন চলে যাওয়া! একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে হরতাল-অবরোধের ডাক বামজোটের শ্রমিক হত্যার বিচার দাবি বামজোটের গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবী টিইউসির গার্মেন্ট শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ বাংলাদেশ জাসদের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা’ কেন প্রয়োজন? তুলসী লাহিড়ী’র চিরায়ত বাংলা নাটক "ছেঁড়া তার" : কিছু কথা

যুবনেতা সাংবাদিক জসিম আজাদকে অপহরণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি যুব ইউনিয়নের

যুবনেতা সাংবাদিক জসিম আজাদকে অপহরণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি যুব ইউনিয়নের

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কক্সবাজার জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক, উখিয়া অনলাইন সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম আজাদকে গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৮.৩০ মিনিটের দিকে পেশাদার কাজ থেকে ফেরার পথে স্থানীয় সরকারি দলের দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নির্যাতন চালায়। স্থানীয় প্রশাসন ও র‌্যাবের সহায়তায় অপহরণের প্রায় দুই ঘণ্টার পরে পথের পাশের ধানক্ষেত থেকে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

সাংবাদিক জসিম আজাদ দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় ইয়াবা বাণিজ্যসহ সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি চাকরির নিয়োগে অনিয়ম ও সরকার দলীয় ছাত্র, যুব সংগঠনের নিয়োগ বাণিজ্য, মাদক পাচার ও স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে নিউজ করে আসছেন। এছাড়া সামাজিক-রাজনৈতিক কাজ ও যে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকায় থাকেন এই যুবনেতা। যার কারণে একাধিকবার হুমকিও পেয়েছিলেন তিনি। সেই সকল হুমকি উপেক্ষা করে সে তার পেশাদারিত্ব বজায় রাখার কারণে তাকে অপহরণ করে নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হয়ছে। অনতিবিলম্বে অপহরণ ও নির্যাতনের সাথে সম্পৃক্ত দুর্বৃত্ত ও তাদের মদদদাতাদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।

আজ ১১ অক্টোবর এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু বলেন, সারাদেশে চলছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি। সরকারি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী ও চোরাকারবারি মাদক বাণিজ্যের রমরমা ব্যাবসা, নিয়োগ বাণিজ্য মোকাবিলায় প্রশাসন চরমভাবে ব্যর্থ। এদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন তাদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হচ্ছে। জসিম আজাদ এই নিরাপত্তাহীনতা ও প্রশাসনের ব্যর্থতার একটি উদাহরণ মাত্র। তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন তিনি।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সাংবাদিক অপহরণের ঘটনা স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ও গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। এর সঙ্গে জড়িতরা পার পেয়ে গেলে ভবিষ্যতে কেবল স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁঁকির মুখে পড়বে না, রাষ্ট্রের নাগরিকদেরও এর ভয়াবহ খেসারত দিতে হবে। তাই এ ঘটনায় জড়িতরা যত প্রভাবশালী হোক, যাদের দিয়েই এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক, সকলকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।