নেত্রকোনায় সিপিবির সমাবেশে পুলিশ ও ছাত্রলীগ যুবলীগের হামলার তীব্র নিন্দা

হামলা করে কমিউনিস্ট পার্টির সংগ্রামকে বাধাগ্রস্ত করা যাবেনা - সিপিবি

হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ


হামলা করে কমিউনিস্ট পার্টির সংগ্রামকে বাধাগ্রস্ত করা যাবেনা - সিপিবি

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি(সিপিবি)'র সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আজ  ১৪ অক্টোবর   ২০২৩ এক বিবৃতিতে  নেত্রকোনায় সিপিবির জনসভায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ- যুবলীগের হামলায় তীব্র  নিন্দা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, লুটপাট দূর্নীতিতে নিমজ্জিত  আওয়ামী সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে  নিজেদের অস্তিত্বের সংকটে পড়ে এখন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর হামলা  মামলার পথ বেছে নিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ফ্যাসীবাদী সরকারের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ যখন  কমিউনিস্ট পার্টির পতাকালে সমবেত হচ্ছে তখন আতঙ্কিত হয়ে বারবার হামলা চালাচ্ছে। নেত্রকোনায় আজ সিপিবির পূর্ব নির্ধারিত জনসভায় পুলিশ এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে লেলিয়ে দিয়ে সিপিবির নেতা-কর্মীদের উপর বর্ববর হামলা সংঘঠিত করে। এই হামলায় জেলা নেত্রকোনা জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড নলীনি কান্ত সরকারসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হন। পুলিশ শুধু নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। তারা সমাবেশ থেকে জোর করে নেত্রকোনা জেলা কমিটির  সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য গোলাম মোস্তফা ও ছাত্র নেতা আজিজুর  রহমান গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।  
জনসভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা  মোহাম্মদ শাহ আলম ও পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ডাঃ দিবালোক সিংহ উপস্থিত ছিলেন। শান্তিপূর্ন সমাবেশ শেষে মিছিল বের করার প্রস্তুতিকালে বিনা উস্কানিতে পুলিশ  অতর্কিত হামলা  চালায় এবং এরপর  ছাত্রলীগ যুবলীগ  হামলা  চালায়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন এভাবে হামলা আক্রমন করে কমিউনিস্ট পার্টির সংগ্রামকে বাধাগ্রস্ত করা যাবেনা। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এ ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন এবং জনগণের গনতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই মোক্ষম জবাব দেয়া হবে।
বিবৃতিতে এ হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয়ভাবে পল্টনে এবং  সারদেশে বিক্ষোভ  কর্মসূচী ঘোষণা  করা হয়।