শিরোনাম
চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়ন্ত্রণ বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামীকাল শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দিলে দেশের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকীতে পড়বে গ্রামীণ মজুরদের কাজ, ন্যায্য মজুরির নিশ্চয়তা দিতে হবে মিরপুরে আগুনে পুড়িয়ে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করছেনা সিপিবিসহ চার বামদল জুলাই জাতীয় সনদের সর্বশেষ সংস্করণ সংশোধন না হলে স্বাক্ষর সম্ভব নয় আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার তদন্ত ও বিচার করতে হবে  মিরপুরের আনোয়ার ফ্যাশন ও কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সিপিবি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোক ও সমবেদনা চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের লিজ দিতেই অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসেছে - সিপিবি এই সনদে সংবিধানের চার মূল নীতিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে

বাম জোটের মিছিলে পুলিশি বাধা

এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠ নির্বাচন আশা করা যায় না – বাম জোট

এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠ নির্বাচন আশা করা যায় না – বাম জোট

সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে বাম গণাতন্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় যেতে চাইলে পুলিশি বাধায় তা সম্ভব হয়নি।

১৭ অক্টোবর ২০২৩, মঙ্গলবার, সকাল সাড়ে ১১টায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে আগারগাঁওয়ে আইডিবি ভবনের পাশে বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা রাশেদ শাহরিয়ার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা উত্তরের সভাপতি ডা. সাজেদুল হক রুবেল।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সরকার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তদারকি সরকারের দাবিকে উপেক্ষা করে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশন প্রকারান্তরে ক্রিয়াশীল দলসমূহকে নিয়ে নির্বাচন করার বদলে ‘কোন দল নির্বাচনে আসলো কি আসলো না’, ‘১% ভোট পড়লেও নির্বাচন আইনি হবে’ এসব কথা বলে সব দল ও সব ভোটারদের অংশগ্রহণ নাকচ করে দিচ্ছে। নেতৃবৃন্দ এই নির্বাচন কমিশনকে ১% এর নির্বাচন কমিশন উল্লেখ করে পদত্যাগ দাবি করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশন অনেক কাজ, অনেক ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন। এরা জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন চাইলে দুটি কাজ করুক, এক. সরকারের সাথে দেখা করে বলুক, ‘অধিকাংশ মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। আপনারা ঐ সরকার গঠনের জন্য আলোচনা শুরু করুন। আইন করুন’, দুই. ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি অধিকাংশ মানুষের আস্থা নেই। তাই এই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করুন। অথবা আমরা পদত্যাগ করবো’।

নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বলেন, ‘জনমত উপেক্ষা করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার পরিণতি ভাল হবে না।’ জনমত উপেক্ষা করে নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করলে এর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তদারকি সরকার গঠনের জন্য আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান। তার আগে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়ারও দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের দুর্বলতার সুযোগে বিদেশি শক্তি নানা তৎপরতার সুযোগ পাচ্ছে। যা স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশ গ্রহণ করতে পারে না।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় নেতাকর্মীরা রাস্তায় বসে পড়ে অবস্থান নেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন ইকবাল কবীর জাহিদ ও রুহিন হোসেন প্রিন্স।