শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন বিরোধী দলের নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে। প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে রনিলকে শপথ পাঠ করান। সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন রনিল।
ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে এর আগেও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আমলেই ২০১৯ সালে একের পর এক বোমা হামলায় কেঁপে উঠেছিল শ্রীলঙ্কা। সে বছর ২২ এপ্রিল মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে তিনটি হোটেল ও তিনটি গির্জা সহ মোট আট জায়গায় ভয়াবহ বোমা হামলায় ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল।
বর্তমানে স্বাধীনতার পর ইতিহাসের সব থেকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ফলে দেশটি নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো পণ্য আমদানি করতে পারছে না। তার উপর মাথায় চেপে আছে বিশাল অংকের ঋণের বোঝা।
সেখানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, ওষুধ ও খাবারসহ সব কিছুর সংকট দেখা দিয়েছে। যার জেরে বিক্ষোভে উত্তাল হয় উঠেছে দেশটি।
গত সোমবার শ্রীলঙ্কার বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোতে ভয়াবহ সংঘাতে অন্তত নয় জন নিহত এবং তিনশর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। বিক্ষোভের মুখে ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান মাহিন্দা রাজাপাকসে। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ে রাজাপাকসের পদত্যাগও দাবি করছেন।
অন্যদিকে, গোটাবায়া দেশের এই সংকট কাটিয়ে উঠতে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জোট সরকার গঠন করার কথা বলে যাচ্ছিলেন।
বিরোধী দলের নেতা রনিলকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার অর্পণ তার সেই ইচ্ছার বাস্তব প্রকাশ।
গোটবায়া-রনিল জোট সরকার শ্রীলঙ্কাকে অর্থনৈতিক এই সংকট থেকে টেনে তুলতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।