চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস ৩৯৭ রানে থামানোর পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৬ রান নিয়ে।
তামিম ও জয়ের সৌজন্যে ১৩ ইনিংস পর টেস্টে অর্ধশত রানের উদ্বোধনী জুটি পেল বাংলাদেশ। দুজনই অপরাজিত থেকে দিন শেষ করায় নতুন দিন তারা নামবেন নতুন মাইলফলকের সম্ভাবনায়।
২০১৭ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই গলে ১১৮ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। সেই ইনিংস থেকে এবারের টেস্টের আগে পেরিয়ে গেছে ৬১ ইনিংস। শুরুর জুটিতে আর শতরান পায়নি বাংলাদেশ। অপেক্ষা এবার সেই ধারা শেষ হওয়ার।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সোমবার ১৯৯ রান করে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের বিদায়ে শেষ সেশনে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস থামে ৩৯৭ রানে। এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন তামিম ও জয়।
দুই লঙ্কান পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো ও আসিথা ফার্নান্দো শুরুর কয়েক ওভারে খানিকটা ফাঁক বের করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনারের ব্যাটিংয়ে। আসিথার বলে তামিম দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিলেও নিতে পারেননি ফিল্ডার, পরে অবশ্য দেখা যায় বলটি ছিল ‘নো।’ একটু পর তার ব্যাটের কানায় লেগে অল্পের জন্য বল স্পর্শ করেনি স্টাম্পে।
জয়ও একবার আলগা শটে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড ও উইকেটের পেছনে ক্যাচ হননি একটুর জন্য। কয়েকবার অল্পের জন্য ব্যাটের কানা নেয়নি বল।
পরে অবশ্য দুজনই দুর্দান্ত কয়েকটি শট খেলেন। পেসাররা ব্রেক থ্রু আনতে না পারায় পঞ্চম ওভারেই আক্রমণে স্পিন আনে শ্রীলঙ্কা। কাজ হয়নি তাতে। বরং স্পিনে আরও বেশি আগ্রাসী ছিলেন দুই ব্যাটসম্যান। বিশেষ করে লঙ্কানদের মূল স্পিনার লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকে ৪ ওভারের বোলিংয়ে ছন্দ পেতে দেননি তামিম-জয়।
প্রথম ৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ২০। পরের ১২ ওভারে রান আসে ৫৬।
তামিম দিন শেষ করেন ৫ চারে ৫২ বলে ৩৫ রান করে, জয় অপরাজিত ৪ চারে ৬৬ বলে ৩১ করে।
নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে আধ ঘণ্টা বাড়তি যোগ করেও এ দিন খেলা হতে পারেনি ৬ ওভার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৫৩ ওভারে ৩৯৭ (আগের দিন ২৫৮/৪) (ম্যাথিউস ১৯৯, চান্দিমাল ৬৬, ডিকভেলা ৩, রমেশ ১, এম্বুলদেনিয়া ০, বিশ্ব ১৭*, আসিথা ১; শরিফুল ২০-৩-৫৫-০, খালেদ ১৬-১-৬৬-০, নাঈম ৩০-৪-১০৫-৬, তাইজুল ৪৮-১২-১০৭-১, সাকিব ৩৯-১২-৬০-৩)।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৯ ওভারে ৭৬/০ (জয় ৩১*, তামিম ৩৫*; বিশ্ব ৪-০-১৭-০, আসিথা ৪-১-১৫-০, রমেশ ৭-১-১৯-০, এম্বুলদেনিয়া ৪-০-১৯-০)