সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। গতকাল ৪ জুন রাত ৯টায় একটি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়। এর প্রায় চল্লিশ মিনিটের মাথায় ডিপোতে থাকা কন্টেইনারগুলো বিস্ফোরিত হয়ে দুমড়েমুচড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। সেই সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। জানা গেছে, বিস্ফোরণ এত ভয়াবহ ছিল যে তার কম্পন ৫ কিলোমিটার দূর হতেও অনূভুত হয়। এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ এখন পর্যন্ত ৩২ মানুষের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহতের সংখ্যা ৩০০ এরও অধিক।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মোঃ ফয়েজউল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল এক যৌথ বিবৃতিতে নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং আহতদের জন্য উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, "সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জন মানুষ নিহত হওয়ার সংবাদ আমাদের কাছে এসেছে। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক মানুষ। অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা এটি। আমরা জানতে পেরেছি কন্টেইনার ডিপোতে কেমিক্যাল দ্রব্যাদি ছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে সতর্কতা সেখানে গ্রহণ করা হয়নি। স্পষ্টতই কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এত ভয়াবহ একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। কর্তৃপক্ষ এই দায় এড়াতে পারে না। জানা গেছে সেই কন্টেইনার ডিপোর মালিক চট্টগ্রাম দক্ষিণ আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ এবং দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সম্পাদক মুজিবুর রহমান। তার সম্পাদিত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে মালিকপক্ষ সবরকম সহযোগিতা করছে ফায়ারসার্ভিসকে, অথচ ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মালিকপক্ষ এখনও আসেনি, তারা জানতে পারছেন না কি ধরনের কেমিক্যাল এখানে মজুত ছিল। এটিকে দুর্ঘটনা বলে উড়িয়ে দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এটিকে হত্যাকান্ড হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে জনগণের জানমালের কোন নিরাপত্তা নাই। রানাপ্লাজা ধ্বংসের সময়ও আমরা দেখেছি, ভবনের মালিক রানাকে লোকদেখানো গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে আরাম আয়েশে রাখা হয়েছে। আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, মুজিবুর রহমানের ক্ষেত্রেও যদি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে তবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারকে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাবে এদেশের জনগণ। সেই মুহূর্তের জন্য তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।"