পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয় প্রদেশে টানা কয়েকদিন ধরে চলা ভারি বৃষ্টি ও তুষারপাতের মধ্যে পৃথক ঘটনায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্র্রদেশটির আপার দির, খাইবার ও মারদান জেলার এসব ঘটনায় আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে ডন অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আপার দির জেলার মাইনা এলাকায় শনিবার সকালে একটি বাড়ির ছাদ ধসে এক নারী ও তার চার শিশু সন্তান মারা যান। শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটটির বয়স এক বছর আর বড়টির ১২ বছর। ঘটনার পর গ্রামবাসীরা তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
একই জেলায় নিজ বাড়িতে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ভূমিধসে চাপা পড়ে আহত একজন কনস্টেবল হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।
মারদান জেলার মুলিয়ানো গ্রামে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ছাদ ধসে একটি পরিবারের আট বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশু নিহত ও আরও পাঁচ জন আহত হয়েছেন।
খাইবার জেলায় বৃষ্টিজনিত কয়েকটি ঘটনায় আরও তিন জনের মৃত্যু হয় এবং আট জন আহত হন।
প্রবল বৃষ্টিতে লানডি কোটালে বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপরদিকে জিয়ারারি, চিনারোনা, মুখতারখেল, পীরোখেল ও এনজারি টপে শনিবার এই শীতের প্রথম তুষারপাত হয়েছে।
চারদিন ধরে টানা তুষারপাতের পর শুক্রবার রাতে তিরাহ উপত্যকার দিকে যাওয়া সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে আর ওই এলাকার বাসিন্দারা ঘরে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে খাবারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে।
ভারি তুষারপাত ও ভূমিধসে নিম্ন ও উচ্চ দির জেলায় বেশ কয়েকটি লিঙ্ক রোড বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার রাতে শাংলা জেলার উঁচু এলাকাগুলোতেও ভারি তুষারপাত হয়েছে। এসব এলাকায় তিন ফুটের মতো তুষার জমায় প্রধান সড়কগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
ভারি তুষারপাত ও বৃষ্টির সঙ্গে জোরালো বাতাস বইতে থাকায় শনিবার বিকাল থেকে শীতের তীব্রতা প্রচণ্ড হয়ে উঠেছে, এতে ওই এলাকার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
গত কয়েকদিনে মারি ও গালিয়াত এলাকায় ৫ থেকে ৬ ফুট তুষারপাত হয়েছে। তুষারপাতের মধ্যে গাড়িতে আটকা পড়ে মারিতে অন্তত ২২ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।