শিরোনাম
কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের পাশাপাশি রাষ্ট্রের সংস্কারের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের ‘‘স্থায়িত্বশীল নগরায়ন: সমস্যা ও সমাধান’’ বিষয়ক বাপা’র পুস্তিকা উম্মোচন ৬-৮ জুন ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলন ফার্মগেটের আনোয়ারা উদ্যান ফিরিয়ে দিতে ৩০ দিনের আল্টিমেটাম কর্মসংস্থানবান্ধব বাজেটের দাবিতে যুব ইউনিয়ন এর সেমিনার সিপিবি’র “বাজেট : গণমানুষের ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভা জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা, রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালুর দাবি শ্রমিক শ্রেণীর অধিকার আদায় ও শোষণ মুক্তির সংগ্রাম বেগবান করুন তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বাপা’র ৮ দফা দাবী ১লা মে কিভাবে শ্রমিক দিবস হলো?

করোনার ভুয়া রিপোর্টঃ সাবরিনা-আরিফসহ ৮ জনের ১১ বছরের কারাদণ্ড

করোনার ভুয়া রিপোর্টঃ সাবরিনা-আরিফসহ ৮ জনের ১১ বছরের কারাদণ্ড

করোনাভাইরাস শনাক্তের রিপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে সকাল ৮ টার পর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদেরকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়।

গত ২৯ জুন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১১ মে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। গত ২০ এপ্রিল একই আদালতে সাক্ষ্য দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে ভুয়া রিপোর্ট দেয়। এমন জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করলে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও এবং জেবুন্নেসা।

চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন বলে জানানো হয়। একই বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।