বাম গণতান্ত্রিক জোট, গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জেলা শহরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা ১২টায় গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডের আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে বাম জোটের জেলা সমন্বয়ক কাজী আবু রাহেন শফিউল্লাহ খোকনের সভাপতিত্বে কমিউনিস্ট পার্টির সদর উপজেলা শাখার সদস্য ওয়ারেছ সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা আহবায়ক কম গোলাম রব্বানী, গাইবান্ধা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) জেলা সভাপতি কমরেড রেবতী বর্মন, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা নেতা প্রভাষক গোলাম ছাদেক লেবু প্রমুখ।
বক্তাগণ জ্বালানি তেলের নজিরবিহীন দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের চরম গণবিরোধী এ সিদ্ধান্ত রুখে দাঁড়াতে হবে। জনগণকে রাজপথে নামতে হবে। তারা আরো বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশচুম্বী দামবৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার সামগ্রিক ব্যয় বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ যখন দিশেহারা, তখন জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনজীবনে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি করবে।
জোট নেতারা বলেন, মাত্র ৮ মাস আগেই ২০২১ সালের নভেম্বরে সরকার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছিলো সরকার। এর প্রভাবে তখন পরিবহণ ভাড়া ও নিত্যপণ্যের দামও বেড়ে গিয়েছিলো। এখন বিশ্ববাজারে ব্যারেল প্রতি ডিজেলের দাম ১৭০ ডলার থেকে ১৩০ ডলারে নেমেছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমে ৯০ ডলারে এসেছে। এ দর এ বছর আরও কমার পূর্বাভাস রয়েছে। সুতরাং, এ সময় বিশ্ববাজারে দামবৃদ্ধির অজুহাত দেখানোর কোনো সুযোগ সরকারের নেই। বিশ্ববাজারে যখন তেলের দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছিলো, তখন সরকার দেশে দাম না কমিয়ে ২০১৪-২০২১ এ সাত বছরে ৪৭ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছিলো। আর এবার দাম বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ছয় মাসে ৮ হাজার কোটি টাকা জ্বালানিতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়েছে।