শিরোনাম
গণ-অভ্যুত্থানে উত্তরায় আহত ১৪৬৭ এবং শহীদ ৮২ জন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার, দুর্নীতি ও পাচারকৃত টাকা উদ্ধার এবং রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি বামজোটের আমরা ফেসবুক গরম রাখতে ভালবাসি কালচারাল পলিটিক্স উছিলা সিনেমা মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত ও সংবিধানের মূল ভিত্তির উপর আঘাতকারীদের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান সিপিবির প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ'র স্মরণ সভা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান’এ উত্তরার শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত উত্তরায় সন্তানের নিরাপত্তাহীনতায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকবৃন্দের শোক সমাবেশ কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের পাশাপাশি রাষ্ট্রের সংস্কারের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের ‘‘স্থায়িত্বশীল নগরায়ন: সমস্যা ও সমাধান’’ বিষয়ক বাপা’র পুস্তিকা উম্মোচন

নারায়ণগঞ্জের ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন আশিক

নারায়ণগঞ্জের ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন আশিক

 

নারায়ণগঞ্জের মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও কর্মী আশিকুল ইসলাম আশিক। যিনি একসময়ের নারায়ণগঞ্জ জেলা ইন্টার স্কুল ও প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড় ও ছিলেন। তার বাবা তৎকালীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির স্থানীয় সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের খুবই ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। 

 আশিক ২০০৪ বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালীন অবস্থায় জনাব নাসিম ওসমানের অন্যতম সহযোগী হাজী রিপনের অনুসারী হয়ে 'বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিতে' যোগদান করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শেখ রাসেল পরিষদের সদস্য হিসেবে যুক্ত হোন।

অত্যন্ত মেধাবী ও  তুখোড় বুদ্ধিমত্তার কারণে খুব অল্প বয়সেই ঢাকার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সময়ের সাথে সাথে আশিক নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাথে  জড়িয়ে পড়ে। ২০০৬ সালে নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রস্থল চাষাড়ায় তার প্রিয় বন্ধু মুখলেসুর রহমানকে নেতৃত্বে রেখে  একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দুর্গ গড়ে তোলে।


আশিক তৎকালীন নারায়ণগঞ্জের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যেমন দেওভোগ, ২ নং বাবুরাইল, ১ নং বাবুরাইল, জল্লার পাড়, পাইকপাড়া , নিতাইগঞ্জ ও শহীদ নগর হতে শুরু করে বন্দর, সোনারগাঁ, পাগলা, ফতুল্লা ও পঞ্চপটির হাজারো সমবয়সী কর্মীকে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক প্রাণকেন্দ্র চাষাড়ার সাথে একত্রিত ও সমন্বয় করতে সফল হয়। বেশ কিছু বার তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দলীয় ও বিরোধী দলের হামলার শিকার হতে হয়। 


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যদের সাথে ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেতার সাথে প্রতিনিয়তই যোগাযোগ রাখতেন আশিক। এছাড়াও শেখ হাসিনার নিজ বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ এবং গণভবন থেকেও অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে তাকে বের হতে দেখা যায় অনেকবার। কিছুদিন আগেও ঘটে যাওয়া কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা মন্ডলীর অনেক সদস্যদের বনিবনা না হওয়ায় অনেকেই গোপনে দল ও আগাম আভাস বুঝতে পেরে দেশ ত্যাগ করে এছাড়াও শেখ হাসিনার অতি ঘনিষ্ঠ কিছু নেতাকর্মীরাও তার নির্দেশে দেশ ত্যাগ করে।


যখন দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরাও ভেতরের কোন খবরই জানতো না ঠিক তখনই শেখ হাসিনার পদত্যাগের কিছুদিন পূর্বেই গত ১০ জুলাই ২০২৪ এ - আশিকুল ইসলাম তার বৃদ্ধা মা কে নিয়ে এবং শেখ হাসিনা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা কাজী মাহবুব হাসান এর সাথে একই ফ্লাইটে কানাডার ভ্যানকুভার এর  উদ্দশ্যে দেশ ত্যাগ করে। বর্তমানে তারা একসাথে একই শহরে আছে বলে জানা যায়।