ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ডাকসু ও জাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছে বেসরকারি চিন্তাশীল প্রতিষ্ঠান আলাপ-আর্গু লজিক্যাল অ্যাক্ট পজিটিভ। পাশাপাশি সাইবার বুলিং প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
প্রতিষ্ঠানটির আহ্বায়ক, লেখক ও গবেষক জাকারিয়া পলাশ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ৯ ও ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে। উৎসবমুখর এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তরুণ নেতৃত্বের রাজনৈতিক সচেতনতা, সেবামূলক মানসিকতা এবং জনসম্পৃক্ত নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ তৈরি হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতীয় ও সামাজিক পরিসরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও মনন গড়ে তুলতে শিক্ষার্থী সংসদগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ঘোষিত সময়ের মধ্যে ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন সফল করতে শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানায় আলাপ।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে মোট ৬৪২ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ডাকসুতে ৪৬৪ জন এবং জাকসুতে ১৭৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া বিভিন্ন হল সংসদেও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী নির্বাচনি চর্চায় অংশ নিচ্ছেন, যা ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার জন্য ইতিবাচক প্রবণতা বলে মনে করছে সংগঠনটি।
আলাপের বিশ্লেষণে আরও বলা হয়, ডাকসু ও জাকসুতে নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ মোট প্রার্থীর প্রায় ১৫ শতাংশ। ডাকসুতে এ হার ১১ শতাংশ, আর জাকসুতে ২৪ শতাংশের বেশি। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী প্রার্থীর মোট সংখ্যা ৯৪ জন। বিশেষ করে জাকসুতে সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যপদে নারীদের জন্য আলাদা পদ থাকায় নারী প্রার্থীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি।