দায়িত্ব নিয়েই মোদিকে ধন্যবাদ রনিল বিক্রমাসিংহের

দায়িত্ব নিয়েই মোদিকে ধন্যবাদ রনিল বিক্রমাসিংহের

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর রনিল বিক্রমাসিংহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অর্থনৈতিক সংকটে টালমাটাল অবস্থা কাটিয়ে তুলতে আর্থিক সহায়তা করায় তিনি ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর মেয়াদে তিনি প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী। খবর এনডিটিভির


ঋণে জর্জরিত অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটাতে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রনিল বিক্রমাসিংহে। বিক্রমাসিংহে দেশটির ২৬তম প্রধানমন্ত্রী। শ্রীলঙ্কার তৃতীয় বৃহৎ রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে এর আগে পাঁচবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে শপথ নেওয়ার পর কলম্বোর ওয়ালুকরমা মন্দিরে আশীর্বাদ নিতে যান বিক্রমাসিংহে। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন।

এ বছরের জানুয়ারি থেকে ভারত শ্রীলঙ্কাকে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


এদিকে ভারতও গতকাল বলেছে যে তারা গণতান্ত্রিক উপায়ে গঠিত শ্রীলঙ্কার নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছে। পাশাপাশি দ্বীপরাষ্ট্রের জনগণের প্রতি নয়াদিল্লির প্রতিশ্রুতি অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে ভারত।

ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়া শ্রীলঙ্কায় মাসখানেক ধরে রাজাপক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। গত সোমবার সরকার সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ এবং দেশজুড়ে জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনায় ৯ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষে।

শপথ নেওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে বলেছেন, তাঁর মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা। তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে পেট্রল, ডিজেল এবং বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে আমি এই সমস্যার সমাধান করতে চাই। আমি যে দায়িত্ব নিয়েছি, তা পালন করব।’

শ্রীলঙ্কার ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টের একমাত্র আসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘সেই প্রসঙ্গ এলে, আমি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব।’

দেশজুড়ে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘গোতাবায়া রাজাপক্ষের দপ্তরের বাইরে এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই বিক্ষোভ চলতে বাধা নেই। তারা আগ্রহী হলে আমি তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই।’

নিজের পদত্যাগের দাবিতে প্রতিবাদের আশঙ্কা করছেন কি না, জানতে চাইলে রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘আমি তাদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। আমি যদি অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর কাজটি করতে পারি, তাহলে সেটিও সামলাতে পারব।’