বাম জোটের নতুন সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স

বাম জোটের নতুন সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)'র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আগামী তিন মাসের জন্য বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।

১১ ই জানুয়ারি ২০২৪ সকাল ১১ টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি কার্যালয় বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভা জোটের সমন্বয়ক কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সবাই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোঃ শাহ আলম সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)"র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদ মার্কসবাদীর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুবেল শিকদার, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদের সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সভায় দেশবাসীর ভোটাধিকার-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনজীবনের সংকট দূর করতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সভায় বলা হয়,বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল ও অধিকাংশ জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে সরকার একতরফাভাবে প্রহসনের নির্বাচন সংগঠিত করে বছরের শুরুতেই যে ন্যাক্কারজনক অধ্যায় শুরু করলো তা দেশের গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর চরম আঘাত হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এই অবস্থা বহাল থাকলে সরকারের কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের মাত্রা আরো বাড়বে। রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়িত ধারা, মূল্যবৃদ্ধির সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম, দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থ পাচার বাড়বে যা দেশের সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলবে ।একই সাথে জনসমর্থনহীন সরকারের কারণে বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী শক্তি নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিতে সক্রিয় হবে।
সভায় বলা হয়, যে ভোট দেশের অধিকাংশ মানুষ বর্জন করেছেন ওই ভোট সম্পর্কে সরকার ও তার তাবেদার নির্বাচন কমিশন দিয়ে যে তথ্য উত্থাপন করেছে তার বিপরীতে হেরে যাওয়া নৌকা মার্কার ও স্বতন্ত্র এবং জাতীয় পার্টি, ১৪ দল ও সরকার সমর্থিত কিংস পার্টিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে দেওয়া যেসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা শুধু নির্বাচনী  প্রহসন নয় পুরো নির্বাচন ব্যবস্থার সংকট উন্মোচিত হয়েছে। ফলে এই আমি-ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের কোন নৈতিক অধিকার কারো নাই বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।
নিত্য পণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর ও অনিবার্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে অবিলম্বে ভূয়া ভোটে নির্বাচিত ভূয়া সাংসদদের নিয়ে সরকার গঠন না করে পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। উপরোক্ত দাবীতে সকল বাম প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও শ্রেনী পেশার গণসংগঠনের ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

আগামী ১৭ই জানুয়ারি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য ও করণীয় তুলে তুলে ধরবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে।