কোভিড-১৯

গ্রীষ্মে ইউরোপে করোনার নতুন ঢেউ

গ্রীষ্মে ইউরোপে করোনার নতুন ঢেউ

করোনার সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্য দিয়ে ইউরোপে গ্রীষ্ম শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সিএনএন অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউরোপের দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাড়ছে। করোনার অতি সংক্রামক অমিক্রনের দুটি উপধরনের কারণে এ সংক্রমণ বাড়ছে।

প্রতিরোধক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি গ্রীষ্মের ভ্রমণ মৌসুম শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে করোনার আরেকটি বৈশ্বিক ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) গত সপ্তাহে সতর্ক করে বলেছিল, ইউরোপে অমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ উপধরন ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে। এই প্রবণতা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এই উপধরনগুলো ইউরোপে আধিপত্যশীল হয়ে উঠবে। এর ফলে ইউরোপে করোনার সংক্রমণ হার বাড়তে পারে।

ইউরোপের বেশকিছু দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। তার মধ্যে রয়েছে পর্তুগাল, জার্মানি, ফ্রান্স, গ্রিস, অস্ট্রিয়া, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, স্পেন।

ফ্রান্সের রেমন্ড-পয়েনকার হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ বেঞ্জামিন দাভিও বলেন, মহামারি আবার ত্বরান্বিত হচ্ছে। এই মৌসুমে এমন প্রবণতা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।

অমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ উপধরন দুটি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি সংক্রামক বলে জানান বেঞ্জামিন দাভিও।

নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার আগের ধরনগুলোর তুলনায় অমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ উপধরনের অধিক সংক্রমণ সক্ষমতা রয়েছে।

অমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ উপধরন দুটির রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়ার মতো সক্ষমতা রয়েছে বলেও প্রতীয়মান হয়।

অন্যভাবে বললে, কেউ আগে করোনায় সংক্রমিত হলে কিংবা টিকা নিলেও তা বিশেষ করে এই উপধরনগুলোর বিরুদ্ধে শক্তিশালী সুরক্ষা দেয় না। এ কারণেই এই উপধরনগুলো প্রভাবশালী হয়ে উঠছে।