কবি নজরুল কলেজ প্রতিনিধি:*
বন্ধ হল কবি নজরুল সরকারি কলেজের সাংস্কৃতিক সংসদের কার্যক্রম।
আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি ) কবি নজরুল সরকারি কলেজ প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে অত্র কলেজের একমাত্র সাংস্কৃতিক সংগঠন এর কার্যক্রম বন্ধ বলে ঘোষণা করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সাংস্কৃতিক সংসদের বর্তমান কমিটি বাতিল এবং এর কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।
জানা যায় গত ২৮ অক্টোবর অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট ' কবি নজরুল সংস্কৃতি সংসদ ' নামে কমিটি দেওয়া হয়।
সাংস্কৃতিক সংসদের কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আলোচনা সমালোচনা করছে শিক্ষার্থীরা।
মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা জানায়, খুবই জঘন্যতম একটা সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করছি।
এতোদিন তাদের মনে সাংস্কৃতিক সংসদ নিয়ে ঘন্টা বাজে নাই। যখনই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা এটা নিতে মুক্ত চিন্তা শুরু করলো তখনই কলেজ প্রশাসন ও বাহ্যিক ব্যবসায়ীদের মনে ব্যবসায়ী ভাব নাড়া দিয়ে উঠলো।
এখানেও তাদের ব্যাবসা করতে হবে এখন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, কলেজ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত যে কারো প্ররোচনায় নিয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতেই প্রকাশ পায়। কলেজ প্রশাসন তাড়াহুরা করতে গিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যে একাধিক বানান ভুল রয়েছে, তা লক্ষ্যই করেনি।
এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মহলেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে ভবিষ্যতে নতুন কমিটি গঠনের ইঙ্গিত থাকলেও তার সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি।
এই বিষয়ে সদ্য বাতিল হওয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক শারমিন জাহান মনি বলেন, এই বিষয়টা নিয়ে আমি অবগত নই। অধ্যক্ষের অনুমোদিত এই কমিটির কার্যক্রম কেন স্থগিত করা হলো, এটার পেছনে কারা আছে আমি কিছুই জানি না। তবে কলেজ প্রশাসন যেহেতু এটি স্থগিত করেছে, এর পেছনে নিশ্চয়ই কোন বিশেষ কারণ আছে।
এই বিষয়ে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইরফান আহমেদ ফাহিম মুক্তি অনলাইনকে বলেন, এই কলেজে ছদ্মবেশী একটা গুপ্ত সংগঠন আছে যারা আওয়ামী লীগের ভেতরে এতদিন লুকিয়ে ছিল তারাই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তারা গুপ্তভাবে ক্যাম্পাস এর সকল কার্যক্রম নামে বেনামে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় এবং তারাই কলেজের এই সাংস্কৃতিক সংগঠনটির কার্যক্রম নস্যাৎ করতে কলেজ প্রশাসনকে প্রভাবিত করেছে । তবে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাদেরকে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই জবাব দিবে।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি আপনাকে জবাবদিহি করতে বাধ্য নই।
পরবর্তীতে তিনি বলেন, এই সংগঠনটি সুন্দর ভাবে পরিচালনার জন্য বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে শিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত করার চিন্তাভাবনা করছি।