গত ১৬ জুন, ২০২২ হতে সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলা দ্বিতীয় দফা বন্যার শিকার হয়েছে। পাহাড়ি ঢল এবং টানা বর্ষণে জেলা দুটির অধিকাংশ অঞ্চল এখন পানির নিচে। জনগণ পানিবন্দী অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। প্লাবিত অঞ্চলগুলোয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই, মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। অনিশ্চয়তায় দিন পাড় করছে সেখানকার মানুষজন। এছাড়াও কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, শেরপুর, নেত্রকোনার বিভিন্ন অঞ্চলের লাখো পানিবন্দী।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মোঃ ফয়েজউল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল এক যৌথ বিবৃতিতে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে দুর্যোগকালীন জরুরি অবস্থা জারি করে দ্রুত মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, "বিভিন্ন এলাকার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় দিন কাটালেও এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে আমরা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখি নাই। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোয় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা, মানবিক সহায়তা প্রেরণ ইত্যাদি কার্যক্রমে প্রশাসনের তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পানিবন্দী মানুষগুলো হাহাকার, আকুতি ওনাদের কানে পৌঁছাচ্ছে না। আমরা অতিদ্রুত বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা, মানুষ এবং বিভিন্ন প্রাণিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া, দ্রুত মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি যতদ্রুত সম্ভব এলাকাগুলোয় পাঠাবোর ব্যাপারে প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে। নামকাওয়াস্তে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা না করে মানুষের উপকারে যেন ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় সে ব্যাপারেও নজর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।"
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে হটলাইন সেবা চালু করেছে, এছাড়াও সংগঠনের উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে গণতহবিলে অর্থপ্রদানের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।