শিরোনাম
অনলাইনে কুতথ্য প্রতিরোধে সফল ভূমিকা রাখছে আইইডি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন নিত্যপণ্যের দাম কমানো, রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে গাইবান্ধায় বাম জোটের বিক্ষোভ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জরুরী পদক্ষেপের দাবি বাম জোটের জ্বালানি খাতে এখনই ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব খাওয়ার স্যালাইনের সহ-উদ্ভাবক বাংলাদেশের বন্ধু রিচার্ড ক্যাশ মৃত্যু বরণ করেছেন বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে তিনবার  কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগের আলটিমেটাম  বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত টাকা ফেরাতে  আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক সহযোগিতায় রাজি শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক জাগরণ যাত্রার ডাক সিপিবি’র

নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির দাবি বাসদ (মার্কসবাদী)-র

নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির দাবি বাসদ (মার্কসবাদী)-র

নড়াইলে মিজার্পুর ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস ও এক শিক্ষার্থী রাহুল বিশ্বাসকে কথিত ধর্ম অবমাননার অজুহাতে জুতোর মালা পড়িয়ে লাঞ্ছনার তীব্র প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বাসদ (মার্কসবাদী)-র সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানা।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ফেইসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে কলেজের শিক্ষার্থী রাহুল বিশ্বাসকে অন্য শিক্ষকরা অধ্যক্ষের কাছে নিয়ে গেলে অধ্যক্ষ তার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুলিশকে খবর দেন। কিন্তু এঘটনার সাথে অধ্যক্ষের সরাসরি কোন সম্পর্ক না থাকলেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননাকারীর পক্ষ নেয়ার গুজব রটিয়ে স্থানীয় জনতাকে উত্তেজিত করে অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান, পুলিশের সম্মতি ও উপস্থিতিতে অধ্যক্ষ ও শিক্ষার্থীকে জুতোর মালা পড়িয়ে রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হয়।”

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, “একজন শিক্ষকের এমন লাঞ্ছনা আমাদেরকে ক্ষুব্ধ ও ব্যাথিত করেছে। কিন্তু পুলিশ ও স্থানীয়  জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে এ ঘটনা সংঘটিত হওয়া আরো বেশি উদ্বেগজনক। সাম্প্রতিক সময়ে হৃদয় মণ্ডল, আমোদিনী পাল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষকসহ অনেক শিক্ষককে কথিত ধর্ম অবমাননার দায়ে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে শুধু তাই নয় বরং লাঞ্ছনাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ভিক্টিমদেরই গ্রেফতার করেছে যা পরবর্তী ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রই কেবল প্রসারিত করেছে। এ ধরণের অধিকাংশ ঘটনায় পরবতীর্তে দেখা গেছে স্কুল—কলেজের অভ্যন্তরে বা বাইরে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব সংঘাত এর সাথে জড়িত।   বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ধর্ম অবমাননার মোক্ষম অস্ত্র ব্যবহার করছে ক্ষমতাবানরা যার সাথে সরকারি দলের স্থানীয় নেতা কমীর্রা যুক্ত । ফলে এক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের অনুগত থাকে।

তিনি বলেন, “সুযোগ সন্ধানীরা সাম্প্রদায়িক রং চড়িয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে। এটা যেমন সত্য তেমনি দেশের জনমনে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গীর প্রসার বাড়ছে এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই। ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের মৌলবাদী শক্তিগুলিকে পৃষ্ঠপোষকতা ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের কারণেই ক্রমাগত জনগণের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার প্রভাব বাড়ছে। জনগণের মধ্যে এই পশ্চাদপদতা ও বিভক্তির সুযোগ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করছে।”

তিনি সমস্ত শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন গণতান্ত্রিক মানুষকে এই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এক হওয়ার আহ্বান জানান।  

বাসদ (মার্কসবাদী)