জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই। দীর্ঘ নয় মাস দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার মারা যান ডেপুটি স্পিকার।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ৪টায় নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন তার বড় মেয়ে ফাহিমা রাব্বী রিটা।
মৃত্যুর সময় হাসপাতালে বড় মেয়ে রিটা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত ডেপুটি স্পিকারের একান্ত সচিব তৌফিকুল ইসলাম।
প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়ার জন্ম গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বটিয়া গ্রামে ১৯৪৬ সালে।
১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করলে তার বিরোধিতার আন্দোলনে নেমে প্রথম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন ফজলে রাব্বী মিয়া। তখন তিনি কেবল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
রাজনৈতিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের যোদ্ধা হিসেবে অংশ নেন প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়া।
আওয়ামী লীগ থেকে ৮০ দশকে তিনি স্বৈরশাসক এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে এরশাদের মন্ত্রীসভার আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
এর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদিয়ে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন। ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
দশম সংসদ থেকে তিনি আমৃত্যু ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সবশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে সপ্তমবারের মতো জয়ী হন তিনি।