জ্বালানি খাতের ভুল নীতি ও দুর্নীতির সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি জাতীয় কমিটির

জ্বালানি খাতের ভুল নীতি ও দুর্নীতির সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি জাতীয় কমিটির

বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সংকটের জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে যথাযথ ভূমিকা না নিয়ে, কমিশন এজেন্ট ও কতক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে সুযোগ দিতে আমদানিনির্ভর জ্বালানি নীতির ফলে দেশের বিদ্যুৎখাত সংকটে পড়েছে। সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতির দায় জনগণ নেবে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের টাকা খরচ করা হবে অথচ ওই টাকা খরচ নিয়ে যাতে প্রশ্ন করা, আইনি ব্যবস্থা না নেয়া যায়, সেজন্য দায়মুক্তি আইন করা হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ জ্বালানি খাতের দায়মুক্তি আইন বাতিল, ভুল নীতি ও দুর্নীতির সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন।

দেশব্যাপী কর্মসূচিতে ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় কমিটির ঢাকা মহানগর আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির ঢাকা মহানগর নেতা জুলফিকার আলী। বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাইফুল হক, বাচ্চু ভুঁইয়া, নাঈমা খালেক মনিকা, শহিদুল ইসলাম সবুজ, মোঃ আলী, মহিন উদ্দিন চৌধুরী লিটন, শামসুল আলম, মীর রেজাউল আলম, সাদরুল হাসান রিপন, বিধান চন্দ্র দাস, মাসুদ খান প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন জাতীয় কমিটির ঢাকা মহানগর সমন্বয়কারী খান আসাদুজ্জামান মাসুম।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “দেশের স্থল ও সমুদ্রের গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। গ্যাস চুরি, অপচয় বন্ধ করে সাশ্রয়ী ব্যবহার করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অন্যদিকে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানিকে গুরুত্ব দিয়ে এলএনজি আমদানিনির্ভরতা অনিবার্য করে তোলা হয়েছে। তেলের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, সংবিধানের মূল দৃষ্টিভঙ্গিকে উপেক্ষা করে বেসরকারি খাতের প্রাধান্যও বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে কমিশনভোগী ও বিশেষ গোষ্ঠী লাভবান হয়েছে। রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বন্ধ করা হয়নি। বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনা ও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে প্রতিবছর জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে ও হচ্ছে। আজ তার পরিণতিতে বিদ্যুৎ সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। কৃষি শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশ আরও সংকটে পড়বে। এ দায় সরকারকেই নিতে হবে।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সংকটকে জিম্মি করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়িয়ে কয়লা সিন্ডিকেটরা ফায়দা লোটার চেষ্টা করবে। এদের বিষয়ে জনগণকে হুশিয়ার থাকতে হবে।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসব দাবিতে জাতীয় কমিটির আহ্বানে আজ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।