বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের আত্মপ্রকাশ

বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের আত্মপ্রকাশ

গত ১ ও ২ সেপ্টেম্বর '২২ খুলনার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)-র ঐক্য কংগ্রেসে মাধ্যমে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ গঠিত হয়েছে। কংগ্রেসে কমরেড ইকবাল কবির জাহিদকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন আবদুস সাত্তার, মোশাররফ হোসেন নান্নু, তুষার কান্তি দাস, নজরুল ইসলাম ফিরোজ, শামীম ইমাম ও নজরুল ইসলাম। এছাড়াও রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়, জাকির হোসেন হবি, নিমাই মন্ডল, মোফাজ্জল হোসেন মন্জু, নৃপেন্দ্র নাথ বাড়ৈ, হারুন উর রশিদ, জিল্লুর রহমান ভিটু, তাসলিম উর রহমান, ইসরারুল হক, নাজিম উদ্দীন, গাজী আবদুল হামিদ, মোজাম্মেল হোসেন খান, রেবতী বর্মন, গাজী নওশের, শহিদুল ইসলামসহ ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।

উল্লেখ্য ২০১৩ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগ এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (পুনর্গঠন)-এর সমন্বয়ে বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ গঠিত হয়েছিল।

অপরদিকে ২০১৯ সালে ওয়ার্কার্স পার্টি ভেঙ্গে নুরুল আহসানকে সভাপতি ও ইকবাল কবির জাহিদকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল।

কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাবে ভোট বিহীন জনগণের উপর চেপে বসা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সকল বাম প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। একইসাথে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, দুর্নীতি, লুটপাট, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং জ্বালানি তেল, ইউরিয়া সার ও পরিবহনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবীতে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল-চিনিকলসহ বন্ধকৃত সকল কলকারখানা অবিলম্বে চালু করার দাবি জানানো হয়।

কংগ্রেসে দেশের বহুধা বিভক্ত অপরাপর কমিউনিস্ট শক্তগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার প্রত্যয় পুনঃব্যাক্ত করা হয়।