ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি থেকে অতিসত্বর তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর উদ্যোগ না নিলে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সিপিবি নেতৃবৃন্দ।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে গতকাল বিকালে ঢাকার পল্টন মোড়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ এন রাশেদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাজ্জাদ জহির চন্দন, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা ও লাকী আক্তার। সমাবেশ থেকে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তেলসহ নিত্যপণ্যের মজুদ গড়ে তোলা, তেল নিয়ে কারসাজি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, দাম কমানো ও সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ঈদের সময় মানুষকে জিম্মি করে, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভোজ্য তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে সরকার সিন্ডিকেট মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদেরই পুরস্কৃত করল। সাধারণ মানুষকে আজ প্রয়োজনের তুলনায় কম খেয়ে বাঁচার চেষ্টা করতে হচ্ছে। সরকারকে অবিলম্বে তেলের দাম কমানো ও বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে তেলসহ নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে ভোজ্য তেল নিয়ে কারসাজি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করা, সারা দেশে রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করতে হবে। অতিসত্বর দাম কমানোর উদ্যোগ না নিলে বামপন্থি অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, জনগণের সরকার হলে দাম বাড়ানোর আগে সাধারণ মানুষের মতামত নিত। এটা না করে ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার প্রথম দিনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে অস্বাভাবিকভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হলো। এতে প্রমাণ হয় এই সরকার জনগণের না, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের সরকার। তিনি আন্দোলনে জনগণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পার্টি কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এসব দাবিতে সিপিবির আহ্বানে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।