রুশ নৌবাহিনীর জাহাজে হামলার দাবি ইউক্রেনের

রুশ নৌবাহিনীর জাহাজে হামলার দাবি ইউক্রেনের

কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবাহিনীর আরও একটি জাহাজে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইউক্রেন। খবর রয়টার্সের।

 ইউক্রেনের দাবি, হামলার পর রুশ নৌবাহিনীর রসদবাহী জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। এতে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 দক্ষিণ ইউক্রেনের ওডেসার আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাৎচুক বলেন, রুশ নৌবাহিনীর ভেসেভোলদ ববরভ নামের জাহাজটি স্নেক আইল্যান্ডের কাছে অবস্থান করছিল। স্নেক আইল্যান্ডটি রোমানিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সামুদ্রিক জলসীমার কাছে অবস্থিত।

ব্রাৎচুক আরও বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনীর নাবিকদের এই কাজের (হামলা) জন্য ধন্যবাদ। হামলায় সহায়ক জাহাজ ভেসেভোলদ ববরভে আগুন ধরে যায়। এটি রুশ নৌবহরের নতুন জাহাজগুলোর একটি।’

ইউক্রেনের দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলেনি।

স্নেক আইল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সম্প্রতি ইউক্রেনীয় ও রুশ বাহিনীর মধ্যে লড়াই তীব্রতর হয়েছে। এতে উভয় পক্ষ পরস্পরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি করে আসছে। তবে তাদের দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

গত মাসে রুশ বাহিনীর কৃষ্ণসাগর নৌবহরের প্রধান যুদ্ধজাহাজ মস্কভা ডুবে যায়। যুদ্ধজাহাজটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করে ইউক্রেন। মস্কভা হারানোর ঘটনাকে রাশিয়ার জন্য একটি ধাক্কা হিসেবে দেখা হয়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। অরিক্স নামের একটি পোর্টালের বরাত দিয়ে কয়েক দিন আগে বিবিসি জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে ছয়টি যুদ্ধজাহাজ ও বোট হারিয়েছে রাশিয়া।

ইউক্রেনে রুশ হামলার মধ্যে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের দুই দেশ ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। এই দুই দেশের সিদ্ধান্তে চটেছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, এটা তাদের জন্য হুমকি। সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোয় যোগ দিলে তারা জবাব দিতে প্রস্তুত।