মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে বাজারদরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ন্যায্য মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে স’মিল শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। শুক্রবার (১৩ মে) ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এই দাবি জানানো হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, সর্বশেষ ২০১৪ সালে সরকার করাতকল সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করেছিল। এরপর প্রায় ৮ বছর অতিবাহিত হলেও মজুরি খসড়া করা হলেও তা চূড়ান্ত হয়নি। অথচ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১৩৯(৬) ধারায় ৫ বছর পর মজুরি পূণনির্ধারণের কথা বলা আছে।
ফেডারেশনের নেতারা বলেন, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির বাজারে স’মিল শ্রমিকরা যে মজুরি পান তা দিয়ে একজন শ্রমিক পরিবারের ১০ দিনও চলে না। ফলে দিশেহারা হয়ে ওঠেছেন শ্রমিকরা।
সভায় বলা হয়, নিম্নতম মজুরি বোর্ডে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মূল মজুরি ২৪ হাজার টাকাসহ মোট মাসিক মজুরি ৪১ হাজার ৯০০ টাকার যৌক্তিকতা তুলে ধরলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
তারা বলেন, স’মিলের মালিকরা শ্রমআইন, রাষ্ট্রীয় আইনের তোয়াক্কা করেন না। শ্রমআইন অনুযায়ী নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক প্রদান, দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ, অতিরিক্ত কাজের দ্বিগুণ মজুরি, মজুরিসহ সাপ্তাহিক ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি, চিকিৎসা ছুটি, উৎসব ছুটি, অর্জিত ছুটি ইত্যাদি প্রদানের বিধান থাকলেও তা দেওয়া হয় না।
সভা থেকে বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ মজুরি ঘোষণা, শ্রমিকদের জন্য স্বল্পমূল্যে রেশনিং চালু, ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস, নিয়োগ-পরিচয়পত্র প্রদানসহ শ্রমআইন বাস্তবায়ন ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা প্রদান করার দাবি জানানো হয়।
ফেডারেশনের সভাপতি মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাসের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. আইয়ূবুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন, কোষাধ্যক্ষ সুরুজ আলী, সিলেট সদর উপজেলা স’মিল শ্রমিক সংঘের সভাপতি মো. হজর আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. মিলন মিয়া, কমলগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক সংঘের সভাপতি মো. মোস্তাক মিয়াসহ প্রমুখ।